আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত, ৪ দিনে যা কিছু ঘটল

  প্রতিনিধি ১০ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:৩২:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত, ৪ দিনে যা কিছু ঘটল

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের চতুর্থ দিন আজ। শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। হামাসের অতর্কিত হামলায় হতচকিত ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এরপর থেকে লড়াই চলছেই। একনজরে দেখা যাক, চতুর্থ দিন পর্যন্ত কী কী ঘটল এই সংঘাতে।

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা বাড়িয়েছে এবং হামাস যোদ্ধাদের রক্তক্ষয়ী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যুদ্ধে উভয় পক্ষের মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে।

পণবন্দিদের হত্যার হুমকি হামাসের:

পণবন্দিদের হত্যার হুমকি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হাতে অন্তত ১০০ পণবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন। গাজা স্ট্রিপ থেকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল আক্রমণ বন্ধ না করলে একজন একজন করে পণবন্দিকে হত্যা করা হবে। এবং তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে ইসরায়েল।

হামলায় ১১ মার্কিন নিহত:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১১ জন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, হোয়াইট হাউস ধারণা করছে, গাজায় হামাসের হাতে বন্দীদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন।

ইসরায়েলি ডেপুটি কমান্ডার ও হিজবুল্লাহর ৪ যোদ্ধা নিহত:

লেবানন সীমান্তের কাছে সংঘর্ষে ইসরায়েলের ডেপুটি কমান্ডার নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলিম আবদুল্লাহ নামে ওই সেনা কর্মকর্তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া লেবানন থেকে লড়াইরত চার হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

ইসরায়েলকে দায়ী করল উত্তর কোরিয়া:

গাজায় সংঘাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা।রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপাত্র রোডং সিনমুনের লেখা একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছে। এতে রোডং সিনমুন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবি, এই সংঘর্ষ ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমাগত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ফল। এ থেকে বের হওয়ার মূল উপায় হলো একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে তোলা।

ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সৌদি আরব:

ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার চলমান সংঘাত নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে যাচ্ছে বলে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে এ কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলেও ফোনালাপে মাহমুদ আব্বাসকে আশ্বস্ত করেছেন যুবরাজ।

হামাসের বিরুদ্ধে বদলা কেবল শুরু: নেতানিয়াহু:

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর তীব্র আক্রমণে শত্রুপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘বদলা কেবল শুরু।’

রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ‘হামাসের পাশে ইরান’:

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন ও ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল যখন অপ্রত্যাশিত এক লড়াইয়ে লিপ্ত, তখন দুই পক্ষই বাইরের সহায়তা পাচ্ছে। ইসরায়েলের সহায়তায় বিমানবাহী রণতরীসহ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এদিকে গত শনিবার ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ওয়ানা নিউজ এজেন্সিতে এক ভিডিও বার্তায় হামাসের এই হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি যোদ্ধা এবং ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

তুরস্ক চায় মধ্যস্থতা: 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা চাইলে তিনি উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে ফোনালাপ করার পর এরদোয়ান এ মন্তব্য করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by