সচিবালয়ে আজ সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা সহায়তা হিসেবে ১৭ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ৩৩৩-এ ফোন দিলে তাঁদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়া আছে। ৩৩৩ বাদেও সংশ্লিষ্ট ডিসি-ইউএনওরা বিকল্প নম্বর দেবেন। সেখানে ফোন দিলে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা স্বল্পমূল্যে দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
‘৩৩৩ হটলাইন চালু আছে, ওটা কোনো কারণে ফেল করলে স্থানীয়ভাবে দেওয়া নম্বরে যে কেউ ফোন করলেও খাবার চলে যাবে, সেই নির্দেশ দেওয়া আছে। খাবারের অভাব হলে বাইরে বের হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মাঠ প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে, আমাদের সেই প্রস্তুতিও আছে।’ যোগ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি আইনে বলা আছে, পাঁচ বছর পর পর সবাই সম্পদের হিসাব দেবেন; যাতে করে আয়বহির্ভূত কোনো সম্পদ আছে কি না, সেটা আমরা চেক করতে পারি। সরকারি চাকরিজীবীরা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন। আমাদেরও তাঁদের সম্পদের হিসাব সাবমিট করতে হবে। কেউ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইলে আমরা দিতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চাকরিবিধি অনুযায়ী স্বচ্ছতা-জবাবদিহির জন্য জনপ্রশাসনে তাঁদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। আমরা আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনমুখী জনপ্রশাসন চাচ্ছি। কারণ সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বেড়েছে, জবাবদিহিও তৈরি হয়েছে।’