দেশজুড়ে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু এখন দৃশ্যমান

  প্রতিনিধি ২৬ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:৪২:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু এখন দৃশ্যমান

দেশে বর্তমান সরকারের নেয়া চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু একটি। যমুনায় চলছে এর বিশাল নির্মানযজ্ঞ। সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল অংশে নদীর দুই পাড়ে দুটি প্যাকেজে দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতুটির কাজ চলমান রয়েছে। মোট ৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হবে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্রাকের এই রেলসেতু। ইতোমধ্যেই ৫০ টি পিলারের মধ্যে ৩২টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ৪৯টি স্প্যান এর মধ্যে দুই পাড়ে বসেছে ২৬টি স্প্যান। এর ফলে দৃশ্যমান হয়েছে প্রায় আড়াই কিলোমিটার। পূর্ব পাড়ের অগ্রগতি বেশী থাকায় বসানো হচ্ছে রেল ট্র্যাক।

সুপারস্ট্রাকচার কাজের ইঞ্জিনিয়ার সালেক ইমাম বলেন, টাঙ্গাইল অংশে স্প্যান বসবে ২৬টি, এবং সিরাজগঞ্জ অংশে বসবে ২৩টি স্প্যান। এর মধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ২৩ টি এবং সিরাজগঞ্জ অংশে ৩টি স্প্যান বসানো হয়েছে। খুব দ্রুতই টাঙ্গাইল অংশের সুপারস্ট্র্যাকচারের কাজ শেষ হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ এই মেগা প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি ৭১ শতাংশ। এর মধ্যে টাঙ্গাইল অংশে কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ আর সিরাজগঞ্জ অংশে ৬৩ শতাংশ। দুই পাড়েই রেল স্টেশন এবং প্লাটফর্ম বানানোর কাজও চলমান রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ অংশে কাজের ধীরগতি সম্পর্কে তিনি জানান, পশ্চিম পাশের সরঞ্জামের সক্ষমতা কিছু কম ছিল এবং গত বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীতে স্রোত বেশী থাকায় পশ্চিম পাড়ে দুই থেকে তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল, এর ফলে সিরাজগঞ্জ অংশে কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রেলসেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।

২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দিলে কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পার হচ্ছে। রেলসেতুটি চালু হলে ১শ’ থেকে ১শ’২০ কিঃমিঃ বেগে প্রতিদিন অন্তত ৮৮ টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। রেলসেতুটির এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৭শ ৮১ কোটি টাকা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by