দেশজুড়ে

বন্যায় বান্দরবান গণগ্রন্থাগারের ৩০ হাজার বই নষ্ট

  প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৩ , ৪:৫৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বন্যায় বান্দরবান গণগ্রন্থাগারের ৩০ হাজার বই নষ্ট

বান্দরবানে ভয়াবহ বন্যায় জ্ঞানের বাতিঘর নামে আখ্যায়িত “বান্দরবান সরকারি গণগ্রন্থাগারের” প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি বই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

এছাড়া বন্যায় ১৯৮৮ সাল থেকে বাধাঁই করা সংরক্ষিত পত্রিকা নষ্ট হয়ে গেছে। 

রবিবার (১৩ আগষ্ট) বান্দরবান সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরি ইনচার্জ মাশৈথুই চাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রবিবার সকালে নয়াপাড়া এলাকার বান্দরবান সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায়, আসবাবপত্র ও বইসহ সকল তাক (রেক) গুলো বন্যার ময়লা পানি আর কাদামাটিতে একাকার হয়ে গেছে। পুরো গ্রন্থাগারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পানিতে ভেজা নষ্ট বিভিন্ন ধরনের মহা মূল্যবান বই এবং কয়েকজন পরিস্কার কর্মী গ্রন্থাগারের কাদামাটি ও নষ্ট বই গুলো পরিষ্কারের চেষ্টা করছেন।সবকিছু মিলে বান্দরবান সরকারি গণগ্রন্থাগার যেন এক ধংসস্তূপ।

সরকারী গ্রন্থগার এর ইনচার্জ মাশৈ থুই চাক জানান, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বান্দরবান গণগ্রন্থাগারও প্লাবিত হয়ে অন্তত ৩০ হাজারেরও বেশি বই বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েগেছে।একতলা গ্রন্থাগার ভবনটির ভেতরে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতায় পানি হওয়ায় কোন প্রকার বই রক্ষা করা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, গ্রন্তাগারে ১৯৮৮ সাল থেকে পত্রিকা বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা ছিল এবং একসময় ইতিহাস, গবেষণা, গনিত,ব্রিটেনিকা, পিডিয়া, রবীন্দ্র রচনাবলী, নজরুল রচনাবলী, উপন্যাসসহ ৩৮ হাজারেরও বেশি বই, বিভিন্ন ধরনের অফিস নথি, মুক্তিযুদ্ধের দলিল, স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিল ছিল।

২০১৯ সালের বন্যায় কিছু বই নষ্ট হলেও পরবর্তীতে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি বই সংরক্ষিত ছিল।তবে এবারের বন্যায় অবশিষ্ট ৩০ হাজারসহ সম্পূর্ণ বই ও দলিলপত্র সব কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।এছাড়া কম্পিউটার ২টি, প্রজেক্টর ১টি, স্ক্যানার ১টি, ৪টি সিসি ক্যামেরা এবং বই রাখার আসবাবপত্র।

গণগ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক মোঃ আলম বলেন, অবসর সময় পেলে লাইব্রেরিটি গিয়ে দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন বই গুলো পড়তাম।নিয়মিত যাতায়াতের কারনে লাইব্রেরির সাথে অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।বইয়ের রেক গুলোর সাথে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বন্যায় বইগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার দৃশ্য খুবই কষ্ট দিচ্ছে। এ কষ্ট প্রকাশ করা খুবই কঠিন। গণগ্রন্থাগারটি দ্রুত পাঠকদের জন্য উপযোগী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কমনা করেন তিনি।

বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল আলম হোসাইনি জানান, জেলায় শুধু মাত্র বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ছাড়া সকল বিদ্যালয়গুলো কম বেশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তবে এখনো পর্যন্ত সঠিক ক্ষতি নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। দুই এক দিনের মধ্যে এই তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by