ময়মনসিংহ

বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি:জামালপুরে বন্যায় প্রায় ৬৯৬কোটি টাকার কাচা-পাকা রাস্তার ক্ষতি

  প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:৫৯:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

জুয়েল রানা, জামালপুর : জামালপুরে তৃতীয় দফা বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল প্রায় ১০ লাখ মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে ছিল সড়কে যাতায়াত ব্যবস্থা। দুই মাসের বেশি সময় ধরে পানি বন্দি হয়ে পড়েছিল ৮টি পৌরসভা ও ৬০টি ইউনিয়ন। বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও বৃদ্ধি পেতে শুরু হয়েছে। বন্যায় অঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়ক, ব্রীজ, কালভার্ট, গ্রামীন সড়ক ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রকৌশলীদের হিসাব মতে প্রায় ৬৯৬ কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। তৃতীয় দফার বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮ পৌরসভা ও ৬০টি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত হয়। পানিবন্দি হয়ে থাকে প্রায় ১০লাখ মানুষ। জেলায় চারিদিকে বন্যার পানি উঠায় অঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কে যোগাযোগ সর্ম্পুন বন্ধ হয়ে যায়। জেলার বর্তমানে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও, পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে সড়কের বেহাল দশার কারনে মানুষ চরম দুর্ভোগে পরেছে। পানির তীব্র তোড়ে ভেঙ্গে গেছে ব্রীজ, কালভার্ট বন্যা নিয়ন্ত্রন সড়ক বাঁধ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে কাঁচা-পাকা সড়ক। প্রকৌশলী দপ্তরগুলোর হিসাব মতে প্রাথমিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির কথা জানায়, কাঁচা সড়ক ১৯৮ কিলোমিটার,পাকা সড়ক ৭৮৬কিলোমিটিার, বড় ব্রীজ ৬টি, ব্রীজ কালভার্ট ৮০টিএপ্রোচ সড়ক, নদীর বাঁধ ও দুটি বেলী ব্রীজের আংশিক ক্ষতি হয়। যার পরিমান প্রায় ৬৯৬ কোটি টাকা। একক ভাবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) প্রাথমিক নিরুপনের হিসেব মতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪৭৯ কোটি টাকার অধিক। এদিকে বন্যার পানি নেমে গেলেও সাধারন মানুষ এখনো চরম দুর্ভোগে আছে। জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহিনুর ইসলাম জানান, সড়কের বেহাল দশার কারনে কৃষিজাত পণ্য ও রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে খানা খন্দের কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও বিয়ে কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগাযোগে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ভাঙ্গা সড়কে প্রতিনিয়ত যানবাহনগুলো দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে গত দুইমাস বন্যা এবং পানি নেমে যাওয়ার পরেও সড়কের কারনে প্রায় সময় অলস থাকতে হচ্ছে গন পরিবহন চালকদের। সাধারন মানুষ এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো: মাহবুবু রহমান মঞ্জু জানান, জামালপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট এবং এপ্রোচজ সড়কের অবস্থা খুবই শোচনীয়। পানির তোড়ে কাঁচা পাকা রাস্তা গুলো লন্ড ভন্ড হয়েছে। দ্রæত সংস্কার না করলে সাধারন মানুষের দূর্ভোগ আরো চরমে পৌছেবে। পাশাপাশি সাদার বাড়ী টু তেতুলিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি পূনঃ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি। জামালপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক জানান, এবারের বন্যায় সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিছু জায়গায় এখনো পানি আছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দ্রæত দুর্ভোগ কমিয়ে আনবে এমনটাই প্রত্যাশ করছে সাধারন মানুষ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by