বরিশাল

বরগুনায় নয় মাস পর কবর খুড়ে মরদেহ উত্তোলন

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৮:৫৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

সোহরাব, বরগুনা সংবাদদাতা:

হত্যার নয়মাস পর মুঠোফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে উদঘাটিত বরগুনার নাসির হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রকৃয়ার অংশ হিসেবে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ কবর খুড়ে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার বেলা এগারটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বরইতলা এলাকায় নিহত নাসিরের বাড়িতে দাফন করা কবর থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মরদেহের অবশিষ্টাংশ উত্তোলন করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হবে। পরে ফরেন্সিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন‍্য ঢাকায় পাঠানো হবে। বরগুনার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।

নির্দেশের আলোকে বুধবার নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট তানভীর আহমেদ, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জয়রাজ হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বরজিত কুমারের উপস্থিতিতে কবর খুড়ে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহের অবশিষ্টাংশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়না তদন্ত শেষে ফরেনসিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য মহাখালী ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

২০২০ সালের ২৩ মে রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের গুলবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির হাওলাদার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল হূদরোগে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন করেন নাসিরের স্বজনরা।

এ ঘটনার নয় মাস গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি মোবাইল ফোনে নাসিরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার কথোপকথনে রেকর্ড ফাঁস হয়। ওই রেকর্ড পুলিশের কাছে পৌঁছানোর পর নাসিরের ভাই আবদুল জলিল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) এবং মিতুর পরকিয়া প্রেমিক রাজু মিয়াকে (২০) আটক করে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী মিতু ও তার সহযোগী রাজুহত্যার বিষয়টি স্বীকার করে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

নিহত নাসির বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকার গয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি গোলবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। গ্রেফতার ফাতেমা মিতু বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা এলাকার মাহতাব মৃধার মেয়ে। তিনি বরগুনার থানাপাড়া এলাকায় বাবার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। রাজু মিয়া ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by