চট্টগ্রাম

বাঁচতে চায় ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত শিশু ছোটন

  প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:৪২:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

বাঁচতে চায় ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত শিশু ছোটন
ছবি: ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত শিশু মো. সাইমন হোসাইন ছোটন।

১৭ বছরের শিশু মো. সাইমন হোছাইন ছোটন। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। শিশুর বয়োবৃদ্ধ বাবা মো. হোছন পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল্লাহ পাড়ার বাসিন্দা। ছেলের চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

ছোটন উপজেলার বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। ২০২১ সালে ধরা পড়ে ব্রেন টিউমার। যার দরুন এই বছর থেকে আর স্কুলে যাওয়া হলো না। তার বাবা হোছন ৯১’এর পর থেকে নানা রোগে আক্রান্ত। নিজে বেঁচে আছেন কোনো রকম। বাবার সংসারে তারা দুই ভাই, নয় বোন। ছোটন সবার ছোট। তার বড় ভাই আমজাদ হোছেন (২২) একজন মানসিক প্রতিবন্ধী।

ইতোমধ্যে ছোটনের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল সব শেষ। রোগের কোনো গতি করা গেলো না। মাথা গোঁজাবার ঠাঁই ভাঙা ঘরটিই এখন তাদের শেষ সম্বল। অর্থের অভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে না পেরে মা-বাবা কাঁদছে অজোরে।আজ থেকে ৩ বছর আগে ধরা পড়ে তার ব্রেন টিউমার। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মাথা ব্যথা। এক চোখে ইনফেকশন শুরু হয়েছে। কানেও কম শুনতে পায় ছোটন।

পরে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল-এ নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিটি স্ক্যান করে ব্রেন টিউমারের কথা জানান। সেখানে নিউরোলজি বিভাগে ডাক্তার দেখালে ডাক্তার অপারেশন করার কথা বলেন।তারা পরামর্শ দেন দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য।

ইতোমধ্যে ছোটনের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছে তার পিতা। বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার কথায় তার মাথায় ভেঙে পড়ে আকাশ। ডাক্তার বলছে দ্রুত ব্রেইন টিউমারের অপারেশন করাতে। দেরি করলে তার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকবে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়ায় নেওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এর জন্য প্রয়োজন ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা।এ তিন বছরে ছেলের চিকিৎসার জন্য দৌড়ঁ ঝাঁপ দিতে দিতে সহায় সম্বল সব হারিয়েছে।

এখন তার চিকিৎসা থেমে গেছে। দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এতো টাকা জোগাড় করার মতো অবস্থা নেই ছোটনের পিতা হোছনের। বাড়িতে ঘর-ভিটা ছাড়া আর কোনো জমিও নেই। তাই তার অসহায় পিতা সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। ছোটন হাতজোর করে অজোরে কেঁদে বলেন- ‘আমি আবার স্কুলে যেতে চাই। আমি বাঁচতে চাই।

আপনাদের যাদের সামর্থ্য আছে আমার পাশে দাঁড়ান। আমার বাবার আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমি চিকিৎসা সেবা পাবো। আমাকে বাঁচাতে আপনারা সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিন।স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবচার বলেন, ‘অতীব দরিদ্র পরিবার এটি। ১১ সন্তানের ৯ জনই মেয়ে। বড় ছেলে প্রতিবন্ধী। শিশু ছোটনের পিতাও অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে। এদের সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই।

আমি সমাজের বিত্তশালীদের অনুরোধ করবো ছোটনের চিকিৎসাসেবার জন্য পাশে দাঁড়াতে।সহযোগিতার জন্য গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, টৈটং শাখায় সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট নং: রিমন বেবী/১১২০০০১০৫৩৩৫০। বিকাশ নং: ০১৮৭০৫৬৪৮৩৮ (ছোটনের বড় বোন রিমন)।

Powered by