চট্টগ্রাম

বাংলাবাজার বেইলি ব্রিজের সংস্কার চলছে ধীরগতির

  প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২৪ , ৬:০০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাবাজার বেইলি ব্রিজের সংস্কার চলছে ধীরগতির

বাঁশখালী প্রধান সড়কের সাথে গন্ডামারা ইউনিয়নের কয়েক হাজার লোকের যাতায়াতের মাধ্যম উপজেলার চাম্বল ও গন্ডামারা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কের জলকদর খালের উপর নির্মিত বাংলাবাজার বেইলি ব্রিজটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে থাকায় ব্রিজের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

পরে চলতি বছরের গত ৭ই মার্চ ব্রিজের সংস্কারের জন্য দুই তৃতীয়াংশ পাটাতন খুলে ফেলা হয়। দুই সপ্তাহ পার হলেও আজ পর্যন্ত পাটাতন বসানোর কোনো খবর নেই কতৃর্পক্ষের। দেশের অন্যতম কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পটি গন্ডামারায় অবস্থিত। ভারী ও বড় যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প এ সড়কের সংযোগ বেইলি ব্রিজের পাটাতন খুলে ফেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

কাজের দীর্ঘসূত্রিতা আর কত গড়াবে তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয় জনগণ। গন্ডামারা ইউনিয়নের বিশাল জনগোষ্ঠী বিশেষ করে পূর্ব-পশ্চিম বড়ঘোনার লোকজনের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম বাংলাবাজার বেইলি ব্রিজটি। তাছাড়া বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসার ১৫-২০ টিরও অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছে এ ব্রিজ দিয়ে।

পাটাতন খুলে ফেলায় চরম দুর্ভোগে ও শংকায় চলাচল করতে হচ্ছে লোকজন কে। ব্রিজের এহেন অবস্থার কারণে রোগী ও সাধারণের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পার হচ্ছে। এতে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। চাম্বল বাজার ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলা বাজার খালের উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু এই সংস্কার কাজের ধীরগতির কারণে গন্ডামারা-বড়ঘোনা গ্রামের হাজার হাজার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

সকাল বাজার হতে চাম্বল বাজারে আসতে সিএনজি অটোরিকশা যেখানে ৪০ টাকা ভাড়া নিতো সেটা ভেঙে হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়াও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় গন্ডামারা ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় ব্রিজের দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এল জি ই ডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাবাজার বেইলি ব্রিজের অধিকাংশ পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় সংস্কারের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ পাটাতন খুলে ফেলা হয়েছে। ব্রিজের পাটাতন (প্লেট) ঢাকায় ফ্যাক্টরিতে প্রস্তুত হচ্ছে। আসতে একটু দেরি হচ্ছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by