আন্তর্জাতিক

বাড়ছে পণ্যের দাম, বিশ্বে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা জাতিসংঘের

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২২ , ৫:৫০:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সামনের মাসগুলোতে ব্যাপক বৈশ্বিক খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে।

সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে রপ্তানি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

রাশিয়ার হামলার কারণে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ সূর্যমুখী তেল, গম ও ভুট্টা রপ্তানি হতো। এগুলো বন্ধ হয়ে পড়ায় এখন বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাপক কমেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী এসব পণ্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে।

জাতিসংঘের হিসেবে, গত বছরের তুলনায় এ বছর খাদ্যপণ্যের দাম ইতোমধ্যেই সারাবিশ্বে অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গতকাল বুধবার (১৮ মে) গুতেরেস বলেন, খাদ্য সংকটের কারণে কোটি কোটি মানুষ অপুষ্টি, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে। সবাই এক সাথে কাজ করলে এ মূহুর্তে বিশ্বে যথেষ্ট খাদ্য আছে। কিন্তু যদি এ সংকটের সুরাহা না হয়, তাহলে সামনের মাসগুলোতে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে।

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা ছাড়া খাদ্য সংকটের কার্যকর কোনো সমাধান নেই। একইভাবে বৈশ্বিক বাজারে রাশিয়া ও বেলারুশের সারেরও বিকল্প নেই।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রাশিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে তার যোগাযোগ আছে যাতে করে খাদ্য রপ্তানি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়।

তিনি এমন সময় এমন মন্তব্য করলেন যখন বিশ্ব ব্যাংক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলায় অতিরিক্ত ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।

বিশ্বে যত গম উৎপন্ন হয় তার ৩০ ভাগ উৎপাদন করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন ৪৫ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য প্রতি মাসে রপ্তানি করতো। কিন্তু রাশিয়ার আগ্রাসনের পর সব রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে এবং জাতিসংঘের হিসেবে ২০ মিলিয়ন টন ভুট্টা এখনো সেখানে আটকা পড়ে আছে। -বিবিসি

আরও খবর

Sponsered content

Powered by