প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২৪ , ৭:০৭:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণ ও পুলিশ আনসার সদস্যের ১৪ টি অস্ত্র লুট এবং থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা ও টাকা লুটের ঘটনায় করা মামলায় আটক ৭ জনকে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া ২ জন নারী সদস্যকে জেলা গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে আদালতে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হক এই আদেশ দেন। আসামিরা হলেন লনসেও বম (১৯), ভাননুন নুয়াম বম (২৩), লাল রিন তলোয়াং বম (২০), জেমিনিও বম (২০), রুমার লিয়ান সিয়াম বম (৫৭), ভান নুয়াম থাং বম (৩৭), ভান লাল থাং বম (৪৫)। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বান্দরবান জেলখানা হতে আদালত পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের প্রহরায় ৭ জন কেএনএফ সদস্যদের আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে রুমা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটের মামলায় বিকেলে কেএনএফ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততায় আরো ৩ জন নারি সদস্যকে আটক করে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেলখানায় প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।আসামীরা হলেন লাল নুন পুই বম (১৮),লাল রুয়াত ফেল বম(২০),লাল এং কল বম(২৬)।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মহতুল হোসাইন যত্ন জানান, রুমা এবং থানচির দুইটি মামলায় ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলাকে আদালতে উপস্থাপন করে অন্য মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করেছে এবং ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেছে। আমরা রিমান্ডের বিরোধিতা করেছি,উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত দুইটি মামলায় ৫ জনের দুই দিনের রিমান্ড এবং দুই জন নারীকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছে।
এসময় তিনি বলেন মামলায় সত্যিকার অপরাধীরা জেলে যাক কিন্তু কোন নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হয়। তিনি আরো বলেন আমরা প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিরোধী, যারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী হত্যা করছে,ব্যাংক লুট করেছে,যারা সত্যিকার অপরাধী তারা জেল হাজতে যাক।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে বিভিন্ন সময়ে আটক ৭১ জন কারাগারে আছেন।