চট্টগ্রাম

বিজয়নগরে যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী

  প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৩ , ৮:৫৩:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

আলমগীর হোসেন ,বিজয়নগর , প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান আমতলী, চম্পকনগর ও সিঙ্গারবিল বাজারের যানজট যেন এক আতঙ্কে নাম। এই বাজারের যানজট এমনই রূপ ধারণ করেছে, সকাল বিকাল মানুষের নিত্যদিনের বাজার করতে এসে ভিতিতে পরিণত হয়। নাই কোন প্রশাসন কর্তৃক শৃঙ্খলা, যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই রাস্তার উপরে সিএনজি অটো রিক্সা ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে যানজটসহ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বাজারের নিরাপত্তা। আর সে বাজারগুলো ঢাকা-সিলেট রোডে ডাকবাংলা থেকে আখাউড়া চলার চলের একমাত্র বাহন হিসেবে গুরুত্ব থাকায়, দূর দুরান্ত থেকে মালবাহী ও যাত্রীবাহী যান চলাচল করে থাকেন। বাজারে যানজট নিরসন খুবই প্রয়োজন হলেও কর্তৃপক্ষ নীরবতা ও বাজার কমিটির দায়িত্বহীন অবস্থা বিরাজ করছে।
এইসব বাজারে কয়েকটা ডায়গনস্টিক সেন্টার প্রায় সময় ইমার্জেন্সি চিকিৎসারত অবস্থায় যানবাহনের হরনে ব্যাহত হচ্ছে নিরব পরিবেশ। এমনকি বাজারের আশে পাশে থাকা স্কুল ও মাদ্রাসায় স্থানবেদে নিষিদ্ধ হরণের মধ্যে পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
বিজয়নগর উপজেলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়াতে উপজেলার প্রায় প্রত্যেক এলাকাসহ দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতা এসে নিত্যদিনের এই যানজট পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সাধারণ পথচারী ও পণ্যবাহী চালক বলেন, অল্প বয়সী শিশু চালক ব্যাহত করছে শৃঙ্খলা, জানা নাই তাদের ন্যূনতম চালানোর নিয়মকানুন, নাই তাদের চালানোর ফিটনেস লাইসেন্স, দেখা যায় রোডের উপরে ইচ্ছামত দার করিয়ে ব্যাহত করছে বড় যানবাহনের গতি, সৃষ্টি করছে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট।
অন্যদিকে রাস্তার উপরে অবৈধ দোকানদাররা ব্যাহত করছে সাধারণ পথচারীসহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পথ। বাজারে কোন স্পিড ব্রেকার না থাকায় বড় যানবাহনগুলো পা লাগাতে হচ্ছে না তাদের গাড়ির কন্ট্রোলিং ব্র্যাকে ও শিকার হচ্ছেন দুর্ঘটনায়।
বিশেষ করে চোখে পড়ার যানজট ও আমতলী বাজারে সরকারের ৪লক্ষ ১২হাজার টাকায় ব্যয়ে ৭০.৪০৫ মিটার দৈর্ঘ্যে ড্রেন বাস্তবায়িত করলেও নাই তার উপরের স্লাব, কাঠের তক্তায় কভার করা হয়েছে ড্রেন, এতে দুর্ঘটনায় আতঙ্ক এড়াতে পারছে না। শৃঙ্খলা ফিরাতে প্রশাসনের নজর খুবই জরুরী। দেখা যায় বাজারে সাধারণ পথচারী রাস্তা পারাপার হতে অপেক্ষমান থেকেও সহযোগিতা ছাড়া পারছে না পারাপার হতে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে যানজট নিরসনসহ রাস্তায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটি মিটিংয়ে বিষয়টা উত্থাপন করে স্থানীয় চেয়ারম্যানদেরকে তাদের জায়গা থেকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, ও অপ্রাপ্তবয়স্কা চালক ও অটো রিক্সা চালকের নামের তালিকা করে আমাদের কাছে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমরা তাদের মা বাবার সাথে কথা বলবো, এবং আল্টারনেট কোন কাজ দেওয়া যায় কিনা চেষ্টা করব।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by