খুলনা

১ জুন থেকে তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ

  প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২২ , ৩:৫৭:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবনে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মোট তিন মাসের জন্য মাছ ধরা ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী, প্রজনন ঋতুতে সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। 

এসময় সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস পারমিট বাতিল করেছে বন বিভাগ। একইসাথে সুন্দরবনের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, আইআরএমপি সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ বছর মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞা আরো এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে শুরু করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ সময় সুন্দরবনের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে সুন্দরবনের প্রাণী ও বনজ সম্পদ আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে সুন্দরবনের সৌন্দর্যও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এই অংশে ২১০ প্রজাতির হোয়াইট ফিস, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা এবং গলদা চিংড়ি রয়েছে। সুন্দরবনের নদী-খালগুলোতে মূলত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুম।

বন কর্মকর্তা আরো বলেন, এ সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হলে সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ যেমন বাড়বে, তেমনি অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এদিকে, সুন্দরবনের ট্যুর ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ও জামাল হোসেন জানান, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ক্ষতির ধাক্কা এখনো কাটেনি। গত দুই বছর তাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। এরপর আবার মাছ ধরার সাথে তিন মাস পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। এতে ট্যুর ব্যবসার ক্ষতি হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by