বাংলাদেশ

বিস্ফোরণের পর রাস্তার পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দগ্ধ মুসল্লিরা

  প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:৪২:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক: এশার ফরজ নামাজ আদায় শেষ হয়েছে। সুন্নাত নামাজ আদায় করছিলেন মুসল্লিরা। এমন সময় বিকট শব্দে মসজিদের ভেতর বিস্ফোরণ ঘটে। দগ্ধ মুসল্লিদের অনেকেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এভাবেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদের ভয়াবহ বিস্ফোরণের বর্ণনা দিচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী মো. রতন ৷

গতকাল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালে পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এ ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ৪০ জনেরও বেশি মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী তল্লা এলাকার বাসিন্দা মো. রতন বলেন, এশার নামাজ প্রায় শেষ দিকে তখন বিস্ফোরণের আওয়াজ পাই। বের হয়ে দেখি ভেতরে আগুন জ্বলছে। সে সময় দেখি সবাই বের হয়ে বাইরে বৃষ্টিতে জমে থাকা রাস্তার পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন। চেহারার অবস্থা এতটা খারাপ ছিল যে কাউকে চেনা যাচ্ছিল না। সবাইকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, নামাজ চলাকালে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ আসলে মসজিদের ৬টি এসি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধদের সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। পরে তিনি তল্লায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের একটি লাইন গেছে। মসজিদের ভেতর গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by