বাংলাদেশ

বৃষ্টির ভোগান্তি দিয়ে দিনের শুরু

  প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২০ , ১১:৪৬:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর পুরান ঢাকার নবাবগঞ্জের বাসিন্দা আকবর হোসেন বেসরকারি একটি কোম্পানির খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ। ধানমন্ডি, কলাবাগান ও নিউ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঘুরে পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী চালান কাটা ও ডেলিভারি ভ্যানচালকের মাধ্যমে তা পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করাই তার কাজ। দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই পণ্যের আগের মতো চাহিদা নেই। ঘর থেকে বের হলেই আতঙ্কে থাকেন এই বুঝি নিজেই আক্রান্ত হলেন।

গত দুই দিন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেরিয়েছেন আকবর হোসেন। তৃতীয় দিনের মতো আজ বুধবার বাসা থেকে বেরিয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টায় নীলক্ষেত মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। গত দুদিন একটু দেরিতে বাসা থেকে বেরিয়েছেন। নিউ মার্কেটের সামনে জলাবদ্ধতার কারণে ১০ টাকায় ভ্যানে চড়ে বাসস্ট্যান্ডে আসতে হয়েছে। তাই আজ একটু সকালেই বের হয়েছেন। আকবর হোসেন বলেন, ‘আজও সকালটা বৃষ্টির ভোগান্তি দিয়েই শুরু হলো। সারাদিন কী হবে কে জানে?’

আকবর হোসেনের মতো নগরবাসীদের অনেকেই সাতসকালে বৃষ্টির ভোগান্তি দিয়েই আজ দিনটি শুরু করেছেন। জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘরে বসে থাকার উপায় নেই। তাই নিরুপায় হয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা ছাতা নিয়ে বের হয়েছেন। তবে নিম্নআয়ের দিনমজুর, রিকশাচালক, গার্মেন্টসকর্মীসহ অন্যদের মাথায় পলিথিন মুড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে দেখা যায়।

আজ সকালে সরেজমিন নিউ মার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ধানমন্ডি, ছোবহানবাগ, মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট, খামারবাড়ি, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, বাংলামোটর ও শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। গণপরিবহনেও তেমন ভিড় নেই। প্রায় প্রতিটি পরিবহনের বেশিরভাগ সিটই ফাঁকা। বাসের হেলপারদের স্বাভাবিক দিনের মতো চিৎকার করে যাত্রী ডাকতে দেখা যায়নি।

তবে মুষলধারে বৃষ্টি না হওয়ায় সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজপথে তেমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। তবে নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরসহ বেশকিছু এলাকায় পানি জমতে শুরু করেছে।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বা অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

গতকাল রাজধানী ঢাকায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কুমিল্লায়, ১৮৩ মিলিমিটার। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ভোলায়, ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন টেকনাফে, ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by