দেশজুড়ে

বোয়ালমারীতে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করছে ১০ গ্রামের বাসিন্দা

  প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:২১:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

বোয়ালমারীতে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করছে ১০ গ্রামের বাসিন্দা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামজ আদায় করেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এসব গ্রামের মানুষ সকালে ঈদের জামাত আদায় করেন। একদিন আগে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন তারা সবাই চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাহমুদাবাদ মির্জাখিল দরবার শরিফের আনুসরী।

জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। এজন্য একদিন আগে ওই ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। 

বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ পালন করে থাকে। এদের মধ্যে সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ও রাখালতলী গ্রামের মোট তিনটি স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের অনুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করে। এখানে ঈদের নামাজ পড়তে মুহম্মদপুর, মুকসুদপুর, আলফাডাঙ্গা সহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন উপস্থিত হোন।

এদের মধ্যে সহস্রাইল গ্রামের ঈদুল ফিতরের সব চেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে নামাজের ইমামতি করেন মুফতি সাইফুল্লাহ।

সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মীর বলেন, দুইশত বছর ধরে সহস্রাইল উত্তরপাড়া জামে মসজিদে, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব মুসলমানরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ১১টার মধ্যে জামাত পর্যায়ক্রমে শেষ হয়। তিনি আরও বলেন, এটা শুরু করেন কোলকাতার আলীগড় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল আরেফীন।

দিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের বাবা দাদাদের আমল থেকে আমরা সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগে রোজা শুরু করি। এজন্য তাদের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বোয়ালমারী উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে বলে আমি শুনেছি। তবে, কয়টা গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট করে এখন বলতে পারছি না। চাইলে প্রয়োজনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কথা বলে সঠিকটা জানাতে পারব।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সহিদুল ইসলাম বলেন, সৌদির সাথে মিল রেখে উপজেলার তিনটি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিপূর্ণ ভাবে তারা নামাজ আদায় করেছেন।

Powered by