চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া “তোরণ” নির্মাণ

  প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২২ , ৬:৫৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

খায়রুল কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিবি’র টাকায় বাউন্ডারি ও তোরণ নির্মাণ করে পিতার নামফলক লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ও গেইট নির্মাণ করেন নোমান মিয়া।উক্ত গেইটের তোরণে তাঁর পিতা আলহাজ্ব আব্দুর রউফ মিয়ার নামফলক স্থাপন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাজ্বী জবর আলী মিয়ার ওয়ারিশ আবু আসাদ: জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসি আশুগঞ্জ থানা বরাবর সরকারি টাকায় ব্যক্তি নামে তোরণ নির্মাণের লিখিত অভিযোগ করেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন কর্তৃক বিষয়টি নোমানের ভাই দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রাসেল’কে অবগত করলে নামের ফলকটি খুলে ফেলে উক্ত গেইটে আরেকটি নাম ফলক স্থাপন করেন, যাহার নামকরণ করা হয় দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ২নং গেইট অর্থায়নে জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রউফ।উক্ত নামফলক স্থাপনের বিরুদ্ধে হাজ্বী জবর আলী মিয়ার আরেক ওয়ারিশ মোঃ আলী রিমন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে এবং ইহার অনুলিপি হিসাবে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা চেয়ারম্যান, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে উক্ত অভিযোগ প্রদান করেন।
তাদের অভিযোগ দেওয়ার পরপরই গত ১২ তারিখ দিবাগত রাতে গেইটের নামফলকটি খুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
কে বা কারা সেটি খুলেছে সে বিষয়ে এখনো জানা হয়নি।পরবর্তীতে রিমন মিয়া,আলীআকবর,দেওয়ান আলী,আরাফাত বাবু,জাকিরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশ করেন নোমান মিয়া,
তারই প্রতিবাদে রিমন মিয়া সহ দূর্গাপুরের লোকজন বিকেলে স্থানীয় বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন রিমন মিয়া।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন,সাবেক চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন,দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাদেক মিয়া,দূর্গাপুর ইয়াছিন প্রধানীয়ার বাড়ীর বিশিষ্ট মুরুব্বি জয়ধর আলী,ফুল মিয়া,
হাজী ইউসুফ পাড়ার মুরুব্বি ইসহাক মিয়া,মাসুম মিয়া,হাজীবাড়ী থেকে জামাল সরদার,বড়বাড়ির কাশেম মিয়া,মোল্লাবাড়ির জাহের মিয়া,সামসু মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজান মেম্বার, মন্নরবাড়ীর মনির মিয়া সহমপ্রমুখ।বক্তারা এসময় বলেন,নোমান মিয়ার এখানে কোন পৈতৃক সম্পত্তি নেই,আমরা জায়গা দিয়ে স্কুলটি নির্মান করেছি কিন্তুু সে তার ভাই চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া ক্ষমতার জোরে তার পিতার নামে নামফলকটি স্থাপন করেন।
এছাড়াও নোমান মিয়া বিভিন্ন সময়ে গ্রামের লোকদের সাথে হুমকি দেন এমনকি স্কুলের ব্যাপারে যদি কেউ কথা বলে তাহলে হত্যা করা হবে বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে কিন্তুু নির্বাচন না দিয়ে নোমান মিয়া সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন,আমরা চাই দ্রুত স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হোক।এ বিষয়ে জানতে চাইলে দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রাসেল বলেন,এ ডি বি র একটি কাজ আসছিল এটা ঠিকাদার করছে,আমরা করিনি,আমরা যদি এডিবির টাকা দিয়ে কাজ করে থাকি বা আমার ভাই করে থাকে তাহলে তদন্ত করলেই বুঝা যাবে।আমার আব্বার নামে নিজস্ব অর্থায়নে একটা তোরন নির্মাণ করেছি এটা তাঁরা ভেঙে ফেলছে।স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন আমার ভাই নোমান স্কুলের সভাপতি গ্রামবাসী যদি চাই আমার ভাই সভাপতি থাকবে নয়তো থাকবেনা।এবিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা
অরবিন্দ বিশ্বাস বাপ্পি বলেন,বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি নির্মাণের জন্য এডিবি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, নাম ফলকের ব্যাপারে তিনি বলেন, তোরণ নির্মাণ ও গেইটের নাম ফলকের ব্যাপারে কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তোরণ নির্মাণ করতে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন লাগে। অনুমোদন ব্যাতীত কেউ যদি করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়টি প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by