প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২০ , ৪:৫০:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় প্রায় একশত পরিবারের চলাচলের একটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের লবনকোঠা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে এলাকার মানুষের চলাচলের শতবর্ষী একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছে শিক্ষার্থীসহ কয়েকশত মানুষ। গত শুক্রবার এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হবিরবাড়ি ইউনিয়নের লবনকোঠা গ্রামের সালাম সরকারের ছেলে আবু সাঈদ ও সাইফুল ইসলাম তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে চলাচলকারী মানুষদের নানা কারণেই বকা ঝকা করে।
কিছুদিন পূর্বে ওই এলাকার মানুষদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে ইটের সীমানা প্রাচীর তুলে রাস্তাটি সংকুচিত করে দেয়। এতে ওই রাস্তা দিয়ে রিক্সা ও ভ্যান ছাড়া আর কোন যানবাহন প্রবেশ করতে পারেনা। সম্প্রতি ওই রাস্তা দিয়ে রিক্সা ভ্যান এমনকি পায়ে হেটে চলাচল করা মানুষদের নানা রকম হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে তারা।
ভূক্তভোগী রুহুল আমিন বলেন, ‘এই রাস্তাটি আমার দাদার আমলের। এখান দিয়ে শত শত মানুষ চলাচল করে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। রিক্সা ও ভ্যান চালকদের বকা ঝকাসহ গায়ে হাত তুলার ঘটনাও ঘটেছে অসংখ্যবার। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা মানুষরা বিপদে পড়ে যেন কম দামে তাদের কাছে জমি বিক্রি করে চলে যায় এজন্য আমাদের উপর তারা এমন অত্যাচার ও নির্যাতন করছে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন মৃধা জানান, ‘বেশ কয়েকবছর ধরে স্থানীয়ভাবে এটার শালিশ দরবার করেও আমরা এটার কোন ফয়সালা করতে পারিনি।’
এ বিষয়ে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুফায়েল আহাম্মেদ বাচ্চু বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয়ে অনেকদিন আগে আমার কাছে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন। তখন আমি সাইদ ও সাইফুলকে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষদের বাঁধা দিতে নিষেধ করেছিলাম। এখন নতুন করে আবার কি হয়েছে এ বিষয়ে আমি ওয়াকেবহাল নই। তবে কেউ বিচারপ্রার্থী হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে অভিযোক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এটা আমার বাবার সম্পত্তি। এখান দিয়ে কাকে চলাচল করতে দিবো, কাকে চলাচল করতে দিবোনা সেটা আমাদের ব্যাক্তিগত বিষয়।’ ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’