বরিশাল

ভোলা সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক হানিফের সীমাহীন দুর্নীতি

  প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২১ , ৩:২০:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

জুলফিকার ফুয়াদ, ভোলা প্রতিনিধিঃ

ভোলা সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হানিফের সীমাহীন দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় সাধারণ মানুষ হাপিঁয়ে উঠেছে। ড্রাইভারী চাকরির অন্তরালে পুরো হাসপাতালটিকে একপ্রকার জিম্মি করে রেখেছে এ্যামবুলেন্স চালক হানিফ।
সূত্রমতে, সরকারি মূল্যবান এ্যাম্বুলেন্স বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবহার না করে নিজের প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে জমজমাট ব্যবসা চালাচ্ছেন এ্যামবুলেন্স চালক হানিফ। হাসপাতাল এলাকায় অনুসন্ধানকালে স্থানীয়  মানুষ হানিফে বিরুদ্ধে অনিয়ম আর দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা জানান, ভোল সদর হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে এপর্যন্ত যতগুলো এ্যাম্বুলেন্স সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন তার সবগুলোই হানিফ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিনষ্ট করে ফেলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজের ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে  সরকারি এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট করে ফেলেন তিনি।
ভুক্তভোগী রুগীরা জানান, কোন অসুস্থ মানুষ হাসপাতালের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের জন্য হানিফকে ফোন করলে সে সরকারি সেবা না দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে মোটাদাগের ভাড়া আদায় করেন।
দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ড্রাইভার হানিফকে অন্য জেলায় বদলি করা হলেও প্রভার খাটিয়ে তিনি পুনরায় ভোল সদর হাসপাতালে চলে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রেখে ড্রাইভার হানিফ নিজের ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা চালিয়ে গত ২৫ বছরে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন। ভোলার পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে হানিফ ক্রয় করেছেন বহু মূল্যবান জমি। যার বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা ।
হানিফের দুর্নীতির বিষয়ে বহু ভুক্তভোগী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার প্রতিকার পাননি। নিজের এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা সচল রাখতে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সগুলোর সমস্ত যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেয়ার মত অভিযোগ হানিফের বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ সিরাজউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by