চট্টগ্রাম

মতলবে বসন্তের আগমণে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল

  প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৭:৩৭:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

সম্রাট সিকদার, মতলব উত্তর প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বসন্তের আগমণে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি যেন সেজেছে তার অপরূপ সৌন্দর্যে। চারদিকে ফুলে ফুলে যেমন ভরে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ।

উপজেলার ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে আমের মুকুলের সমারোহ ঘটছে। মুকুলের ভাড়ে গাছের ডাল-পালা নুড়ে পড়ছে। ছোট-বড় গাছগুলোতে বেশী মুকুল আসতে শুরু করছে। আমের মুকুল যে পরিমাণে আসছে, অনেকে মনে করছে এবার আমের ফলন বেশী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার জোড়খালী, বারআনী, ফরাজীকান্দী, ষাটনল, সটাকী, ছেংগারচর, জহিরাবাদ ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরুপ রঙ ছড়াচ্ছে।

মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের মধ্যে বইছে আনন্দ। অনেকেই মুকুল রক্ষা করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ গাছের যত্নে মনোযোগী হয়ে উঠছেন। আমের মুকুল আসছে, তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভ্রমোরের ব্যঞ্জনা। বছর ঘুরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠছে আমপ্রেমীদের মন।

ছেংগারচর পৌরসভার জোড়খালী গ্রামের বাগান মালিক মো. নাদিম জানান, বর্তমানে আবওহায়া অনুকুলে রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। মুকুল আসার পর থেকে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করছি এবং কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বালাইনাশক স্প্রে করছি। আল্লাহ চাইলে এ বছর আমের ভালো ফলন পাব ইনশাআল্লাহ।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাউদ্দিন জানান, মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলনে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে। এ ব্যাপের কৃষকদের সতর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করি এ বছর আমের ফলন ভালো হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by