প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২০ , ২:০৫:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শামীম খান, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : মহামারী ভাইরাস করোনা আতংকের মধ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুরে ঈদবাজারে কোন ক্রেতা-বিক্রেতারাই কোন নিময় মানছেনা। সব দোকান গুলোতেই নারী-পুরুষের উপচে পড়াভীর লক্ষ করা গেছে। ফলে বিক্রেতারা রয়েছে মহা বিপদের মধ্যে। ফলে বিপনী বিতানসহ দোকান গুলোতে দূরুন্ত বজায় না রাখলে মহেশপুরে বড় ধরনের করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারন করতে পরে।
সরকারের বিধি-নিষেধের মধ্যে মানুষ ছুটে চলেছে ঈদ বাজারে। সরকারের নির্দেশনা মেনে ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম রেখেছে দোকানের সামনে। ব্যবসায়ীরা বলছেন আমরা নিরুপায় আর ক্রেতারা যদি সচেতন না হয় তাহলে আমরা কি করতে পারি।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মহেশপুরের মার্কেট গুলো ঘুরে দেখা গেছে বিপনী বিতান, জুতার দোকান, কসমেটিকসের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর। এর মধ্যে মনে রেখো শপিং কমপ্লেক্স, হাবিব বস্ত্রালয়, ভাই ভাই বস্ত্রালয়, শাড়ী হাউজ ও মোজাম্মেল টাওয়ারের দোকান গুলোতে সব থেকে ভীড় বেশী লক্ষ করা গেছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়ার কারনে এমন ভীর হচ্ছে বলে জানান কয়েক জন দোকনদার।
দোকানদারা জানান, সময় স্বল্পতার কারনে বিপনী বিতানসহ সব দোকান গুলোতেই ভীর বাড়ছে। কোন ক্রেতাই দূরুত্ত্ব বজায় রাখছেনা। সেই সাথে আমরাও অসহাই হয়ে পড়ছি। এদিকে মহেশপুরের অনেক টেইলার্সে অর্ডার নেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
শাড়ী হাউজের মালিক আবু সাঈদ জানান, আমার এখানে নতুন কিছু কাপড় ও ত্রিপিচের আইটেম আসার কারনে ক্রেতাদের ভীড় একটু বেশী হচ্ছে।
মহেশপুর বনিক কল্যান সমিতির সভাপতি ফশিয়ার রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঈদবাজারে কোন ক্রেতা-বিক্রেতারাই দূরুন্ত বজায় রাখছে না। বিপনী বিতান থেকে শুরু করে জুতা ও কসমেটিকসের দোকান পর্যন্ত যেধরনের ভীর হচ্ছে তা পরে যে কি হবে আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবেনা।
পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান জানান, আমি বাজারের যানজট সরাতে ৩জন লোক দেওয়া হয়েছে। শহরে চলছে মাইকিং। তার পরও দোনক গুলোতে এতো পরিমানের ভীর যে আমার কিছুই করার নেই। এটা দেখবে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজন সরকার জানান, মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে কি করার আছে। তার পরও আমরা বিষয়টি দেখছি।