দেশজুড়ে

মাদারীপুরের শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর “মৃত্যু”

  প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬:৫৬:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে এক চাকরিজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই দিন রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল না জানিয়ে চিকিৎসক বলেছেন, ওই যুবকরে জ্বর, সর্দি বা কাশির মতো করনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না। তবে তিনি ‘অ্যাজমার’ রোগী ছিলেন।
মৃত ওই যুবকের নাম সুজন শেখ (৩৪)। তিনি রাজৈর উপজেলার পৌর এলাকার  ইদ্রিস আলী শেখের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধের সহযোগিতায় তার লাশ দাফন করা হয়।
রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিঠুন বিশ্বস বলেন, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন, এছাড়াও তার ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিলো এবং তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাহিরেই ছিলো এবং নিয়মিত শ্বাসকষ্টের ও ডায়াবেটিস এর ওষুধ নিতেন। এমনকি তিনি অ্যাজমাতে ভুগছিলেন। 
জানতে চাইলে রাজৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহানা নাসরিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধিসহ আমি ওই বাড়িতে এসেছি। তার পরিবারের সাথে আমরা কথা বলেছি। তার মেডিকেল রিপোর্টগুলো চিকিৎসকরা দেখেছেন। মৃত ওই ব্যক্তির পারিবারিক ভাবে শ্বাসকষ্ট রোগী ছিল। তাছাড়া বহুদিন ধরে অ্যাজমা ও ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল তিনি যখন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসার আধাঘন্টার বেশি জীবিত ছিলেন না।’
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘মৃত ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত নন। তাই আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করিনি। তবে তার লাশটি স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুসারে দফন করা হবে।’
ইউএনও সোহানা নাসরিন আরো জানায়, ‘রাজৈর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭২১ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহ করার কাজও শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল সেই নমুনা ঢাকায় পাঠায়। ঢাকা থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by