বাংলাদেশ

মানুষ জানতে চায়, পরিবর্তনটা আসবে কবে?

  প্রতিনিধি ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ৮:১৬:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন মানুষের জিজ্ঞাসা, পরিবর্তনটা আসবে কবে? চারদিকে যে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, তা থেকে কবে বের হওয়া যাবে? আমরা বর্তমান অবস্থা থেকে অবশ্যই বেরোতে পারব। কারণ এ দেশের মানুষ কখনো পরাজয় বরণ করেনি।   

শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর ওপর লেখা ‘আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী সংবর্ধনা গ্রন্থ’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে ‘চরম নৈরাজ্য’ চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া গেছে। শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমানে সরকারের, শাসকদের এবং শাসন ব্যবস্থার অবস্থা। প্রতিটি ক্ষেত্রে একই অবস্থা, চরম নৈরাজ্য চলছে। মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য, ওয়েল ফেয়ার স্টেটের জন্য চিন্তাই নেই।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য একটিই, কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। আমরা করোনার সময়ে দেখেছি, যখন মানুষ মারা যাচ্ছে, আহাজারি করছে, তখন তারা (সরকার) কী করে অর্থ উপার্জন করবে, তা নিয়ে ব্যস্ত। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির ড্রাইভারের চারশ কোটি টাকা। এরকম একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে এখন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভাইস চ্যান্সেলর ১৬৯ জনকে নিয়োগ দিলেন এক রাতে! পেছনের কাহিনী কী? অর্থ উপার্জন করা। এই যে আমরা একটি সমাজ তৈরি করেছি, এ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করা খুব কঠিন।

আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, আমি দেখি না টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদ করে কোনো মিছিল বের হতে। গণতন্ত্রকে যখন ধ্বংস করা হয়, ছাত্রদের যখন পিটিয়ে শুইয়ে দেওয়া হয়, রক্ত ঝরানো হয়, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রতিবাদ মিছিল বের হয় না।

বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসার সভাপতিত্বে ও কবি আবুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, তার সহধর্মিনী লাকী নাসরিন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ।

আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জ্ঞানের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। জ্ঞানের জগতে কোনো সীমারেখা নেই। আজ এখানে যারা বক্তব্য রেখেছেন, তাদের সঙ্গে আমি একমত যে, আমরা দুর্ভাগা জাতি এ কারণে যে, আজও আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে পারিনি। আমাদের সমাজ জ্ঞানবিমুখ। আমরা যদি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে পারতাম, তাহলে আমাদের এত সমস্যা থাকত না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by