বাংলাদেশ

মানুষ মুখ খুলে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারছে না: ড. ইউনূস

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:৪১:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

মানুষ মুখ খুলে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারছে না: ড. ইউনূস

পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন নিজের দেশেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে উপস্থাপক ড. ইউনূসের কাছে জানতে চান— বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস ও সামাজিক ব্যবসা পরিচালনার আমন্ত্রণ থাকলেও কেন বাংলাদেশে থাকছেন?

খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস বলেন, তুমি কি বলছ আমি দেশ থেকে চলে যাই? এমন কুসন্তান হলাম আমি যে আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে? আমি এই দেশের সন্তান, এই দেশেই থাকব।

সামাজিক ব্যবসা ও উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে ১২ থেকে ৩৫ বছরের জনগোষ্ঠীকে উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জন্ম হয়েছে চাকরি করার জন্য না৷ আমরা সবাই উদ্যোক্তা।

গণতন্ত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কেউ গণতন্ত্রের বিপক্ষে না, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, ন্যায়নীতির পক্ষে৷ এগুলো না থাকলে তো জাতি হিসেবে আমরা টিকে থাকব না। তবে মুখ খুলে মানুষ গণতন্ত্রের কথা বলতে পারছে না বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ।

তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, আমার মনে হয় উনি মনে করেন, আমি দেশের সর্বোচ্চ ডাকু, সন্ত্রাসী কিংবা আমি অপরাধী, সেরা চোর। আমাকে বলেন— আমি সুদখোর, ঘুষখোর।

কর ফাঁকি দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, আমার টাকা, আমি রোজগার করি, আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মালিক হব না। যেহেতু আমি মালিক হব না, তাই আমি ট্রাস্টে দিয়ে দিতে চাচ্ছি। আমাদের আইনজীবী বলেছেন, আপনি যেহেতু দান করছেন, এটাতে আর কর দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।

তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর দিতে বলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কর পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন। প্রচলিত আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মীদের দেওয়ার বিষয়ে এই বিশ্বব্যক্তিত্ব বলেন, যেখানে মালিক মুনাফা পায় না, সেখানে শ্রমিক কীভাবে মুনাফা পাবেন? এই প্রতিষ্ঠান তো মুনাফা তৈরি করে না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by