বাংলাদেশ

মার্চে আসবে আদানির বিদ্যুৎ: প্রতিমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:২৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কমিশনিং হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা প্রতিযোগিতামূলক বাজার দরেই বিদ্যুৎ পাব। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে এপ্রিল মাসে।’

তিনি বলেন, ‘আসছে সেচ ও গীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আমাদের বেশকিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। রামপাল এসেছে, এসএস পাওয়ার আসবে, বরিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আসবে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নিয়েছি, সেচ মৌসুম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বেড়ে যাবে।’

স্পট মার্কেট থেকে ৮ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি গ্যাসের নতুন দর ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর না করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়টি নাকচ করে দেন।

২০১৭ সালে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৯৫ কিলোমিটারের জন্য লাইন স্থাপন করেছে আদানি গ্রুপ। ঝাড়খণ্ড থেকে বিদ্যুতের এ লাইন মূলত পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার ওপর দিয়ে গেছে।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ফারাক্কার বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, বিদ্যুতের তার যাওয়ার কারণে তাদের লিচু ও আম বাগানের ফলন নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে পরপর তিন দফা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তিনবারই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

কৃষকদের হয়ে গত ৩১ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে মানবাধিকার সংগঠন এপিডি জনস্বার্থে একটি মামলার আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৭ তারিখ সব পক্ষকে ডেকে পাঠান।

facebook sharing button
twitter sharing button

আরও খবর

Sponsered content

Powered by