চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম

  প্রতিনিধি ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:০৭:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই :

মিরসরাইয়ে ৪ পা বিশিষ্ট অস্বাভাবিক এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাতে এই ঘটনা ঘটে। সন্তান জন্মদানকারি মহিলা ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার ১ নং বাগানবাজার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের হাতির খেদা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২ টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার (১৮) প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫ টার সময় হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়ার তত্বাবধানে ওই গৃহবধূ ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জম্ম হয়। শিশুটির ৪ পায়ের মধ্যে ২ টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদন্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম। শিশুটির মা পুরোপুরি সুস্থ্য হলেও শিশুর হালকা শ্বাস কষ্ট রয়েছে।
ওই গৃহবধূর স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘২০২০ সালের ১১ মার্চ আমাদের একই গ্রামের হানিফ কোম্পানীর ছোট মেয়ে নাছরিন আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। একই বছর বিবাহের ৯ মাসের সময় একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় আমার স্ত্রী। কিন্তু সেই শিশুটি ডেলিভারীর সময় মারা যায়। এরপর ২ বছরের ব্যবধানে বারইয়ারহাট শেফা ইনসান এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে দ্বিতীয় শিশুর (কন্যা) জন্ম হয়। তবে স্বাভাবিকভাবে ৪ পা বিশিষ্ট শিশুটির জন্ম হয়। সন্তান জন্মগ্রহণের পর সবার মুখে হাসি ফুটে। কিন্তু আমার পরিবার ও আত্নীয় স্বজন সবার মাঝে দুশ্চিন্তার চাপ এই অস্বাভাবিক কন্যা সন্তান নিয়ে।’
শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়া বলেন, ‘সোমবার রাত ২ টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫ টার সময় ওই গৃহবধূর ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জম্ম হয়।’
শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এ ফারুক বলেন. ‘৪ পা বিশিষ্ট শিশুটির স্বাভাবিকভাবে জন্ম হয়। তবে তার ৪ পায়ের মধ্যে ২ টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদন্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম। শিশুটির মা পুরোপুরি সুস্থ্য হলেও শিশুর হালকা শ্বাস কষ্ট রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by