বাংলাদেশ

যেসব কারণে বিলম্বিত হতে পারে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২১ , ৬:০৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

সরকারের অনুমতি পাওয়া মাত্রই কি দেশ ছাড়তে পারবেন খালেদা জিয়া? অনেকেই বলছেন, অনুমতি পেলেই লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেবেন তিনি।  বিষয়টি আসলে এত সরল নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সুরাহা হওয়ার পরই বিদেশে রওনা দিতে পারবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

পুরাতন পাসপোর্ট নবায়ন:
খালেদা জিয়ার পুরাতন পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। এরপর আর সেটা নবায়ন করা হয়নি। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের আগের পাসপোর্ট ছিল মেশিন রিডেবল। কিন্তু এখন ই-পাসপোর্টের চল শুরু হয়েছে। ই-পাসপোর্ট করতে হলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের রেটিনা স্ক্যানসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এ জন্য আবেদনকারীকে উপস্থিত থাকতে হয় পাসপোর্ট অফিসে। খালেদা জিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থায় তাই ই-পাসপোর্ট নেওয়া সম্ভব নয়। তবে তার অবস্থা বিবেচনা করে আগের ধরনের পাসপোর্ট তৈরির কাজ এখন নাকি শেষ পর্যায়ে। অর্থাৎ বিদেশ যেতে গেলে এই পাসপোর্টটি তাকে হাতে পেতে হবে।

শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খালেদা জিয়া তার নতুন পাসপোর্ট পেয়েছেন কিনা জানা যায়নি।

কোন দেশে যেতে পারবেন বেগম জিয়া:
বিএনপি ও পরিবারের প্রথম পছন্দ লন্ডন। কিন্তু করোনার কারণে বাংলাদেশিদের জন্য লন্ডন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি লন্ডন যেতে পারবেন কিনা সেটাই প্রশ্ন। তবে দলীয় সূত্র বলছে, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য এ নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা না। সূত্র আরও বলছে, লন্ডনে এ নিয়ে দেনদরবার করছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান। সেখানকার গ্রিনসিগন্যাল পাওয়ার আগে তো আর রওনা দিতে পারবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন।

এছাড়া লন্ডন যাবেন নাকি সিঙ্গাপুর যাবেন তা নিয়ে এখনও নাকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি দল ও পরিবার। লন্ডন কিংবা সিঙ্গাপুর না হলে সৌদি আরবে নেয়ার চিন্তাও করা হচ্ছে। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির সৌদি আরবে যাওয়ার ব্যাপারেও রয়েছে বিধিনিষেধ। সুতরাং এ নিয়েও সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে আলাপআলোচনার দরকার আছে।

বিমান ভ্রমণের জন্য খালেদা জিয়া কতটা উপযুক্ত:
বিএনপির পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, কোভিড পরবর্তী নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকরা বলছেন, তাকে এখনও অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে, ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি দীর্ঘ বিমানযাত্রার জন্য কতটা উপযুক্ত সেটাই বিবেচ্য বিষয়। তার মানে তিনি বিমানযাত্রার জন্য উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিদেশে রওনা দিতে পারবেন না।

দলীয় সূত্র বলছে, সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর কমপক্ষে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে বিদেশে রওনা দিতে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by