রাজশাহী

লালপুরের গোপালপুর পৌরসভার ২০ কাউন্সিলরের সম্মানি ভাতা বাকি ১৯ লাখ

  প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২১ , ৬:২৮:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

নাহিদ হোসেন, লালপুর(নাটোর): নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার ২০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মেয়াদ শেষ হলেও ১৯ লাখ টাকা সম্মানি ভাতা বকেয়া রয়েছে। ২০১০ ও ২০২০ সালে নির্বাচিত কাউন্সিলরের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে ভাতাবঞ্চিতরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনে ২০০৫ সালে ৯টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আবদুল বারি বাবলা, নাজির হোসেন, শাহাবাজ আলী, সেলিম রেজা, আবুল কালাম, বিমলেন্দু কর, গোলজার হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস মালিথা ও আনিসুজ্জামান বাবু নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নাজমা বেগম, রশিদা খানম ও তহমিনা বেগম নির্বাচিত হন।

এই মেয়াদে তাঁদের মাসিক সম্মানী ভাতা ছিল ৩ হাজার টাকা। সরকার তা বাড়িয়ে ৯ হাজার টাকা করলেও বাড়তি ৬ হাজার টাকা পৌরসভা পরিশোধ করেনি। পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে এই ভাতা পরিশোধ করার কথা ছিল। মেয়াদ শেষে তাদের ভাতা মোট বকেয়া পড়ে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। গত ১৬ বছরেও তা পরিশোধ করা হয়নি।

বকেয়া সম্মানী ভাতার জন্য কাউন্সিলররা দায়িত্বরত মেয়রদের কাছে ধরনা দিয়ে সমাধান পাননি। সাবেক কাউন্সিলর সেলিম রেজা বলেন, ২০০৫ ও ২০১৫ সালে চার নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন। তার প্রাপ্য সম্মানী ভাতা মেয়ররা নিয়মিত পরিশোধ করেননি। তিনি ১৬ বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত রয়েছেন।সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রশিদা খানম বলেন, প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার টাকার ভাতা বকেয়া পাওনা রয়েছে।

গোপালপুর পৌরসভার সাবেক দুই মেয়র মঞ্জুরুল ইসলাম বিমল ও নজরুল ইসলাম মোলাম বলেন, পৌরসভার রাজস্ব আদায় থেকে বেতন-ভাতার টাকা পরিশোধ করা হয়ে থাকে। রাজস্ব কম হওয়ায় আর্থিক সংকটে কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা বকেয়া পড়ে।

নবনির্বাচিত মেয়র রোখসানা মোর্ত্তজা লিলি বলেন, আগের মেয়াদে দায়িত্বে থাকা মেয়ররা ভাতার টাকা পরিশোধ না করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে এক মাসের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সমস্ত বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করা হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by