বরিশাল

লালমোহনে মৃতদের নামে উত্তোলন হচ্ছে জেলেদের চাল

  প্রতিনিধি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৮:২৩:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

লালমোহন পৌর ভবনের স্টোর রুম থেকে চাল উদ্ধার করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

মনজুরুল আলম, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:

ভোলার লালমোহন পৌরসভার জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলণ হচ্ছে মৃত ব্যক্তির নামে। তবে এসব চাল উত্তোলণের বিষয়ে জানা নেই বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবার।

পৌর ১নং ওয়ার্ডের মৃত শাহে আলমের ছেলে রাকিব জানান, বাবা মারা গিয়েছেন দুই বছর আগে, এরপর থেকে ভাতার চাল পায়না তারা। একই ওয়ার্ডের মৃত আবুল কালামের ছোট ভাই নান্নু জানান, ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। তার নামের চাল উত্তোলনের সুযোগ নাই। পৌরসভার মাস্টার রোলে দেখা যায়, ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল মান্নানও টিপসই দিয়ে চাল উত্তোলন করেছেন।
এ বিষয়ে পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন মেহের বলেন, এলাকায় কারা জেলে ভাতা পায়, তা আমার জানা নেই। পৌর মেয়র বা কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আমাকে জানায়নি। এসময় পৌরসভার বিভিন্ন বরাদ্দ মেয়র নিজে অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাত করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জানা যায়, পৌরসভায় ১০৮ জন নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ৯৮ জন জেলের নামে বরাদ্দ আসে। তবে প্রকৃত জেলেরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার পৌরভবনের স্টোররুম থেকে পরিত্যক্তবস্থায় ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করে ইউএনও আল নোমান। পরে ওই চাল হেফাজতপূর্বক তা কোন বরাদ্দের, কেন পরিত্যক্তবস্থায় ছিল?, তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসার আবদুল কুদ্দুস কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

সোমবার ১ম দিন তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন ওই কর্মকর্তাগণ। এসময় নিবন্ধিত জেলেরা চাল না পাওয়া এবং কম দেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরতে চাইলে বিষয়টি তাদের আওতায় নেই বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।

এদিকে সোমবার বিকেলে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে চাল বিতরণে নানা অনিয়ম তুলে ধরে তা তদন্তের জন্য পৌরসভার ১০জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র জমা দেন কাউন্সিলররা।

এ ব্যাপারে লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, তালিকায় মৃতের নাম থাকতে পারে, তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। স্টোর রুম থেকে উদ্ধার হওয়া চালগুলো জেলেদের জানিয়ে মেয়র বলেন, তবে বিতরণকালে চিকিৎসাধীন থাকায় তা সময়মত বিতরণ করা যায়নি বলেও জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by