চট্টগ্রাম

শব্দ দূষণে দোহাজারী হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকদের ভোগান্তি 

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২:৫৭:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

শব্দ দূষণে দোহাজারী হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকদের ভোগান্তি

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত দোহাজারী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে দিয়ে স্বল্প ও দূরপাল্লার গাড়িগুলো প্রচণ্ড হর্ন বাজিয়ে ছুটে চলে। হাইড্রোলিক হর্নের কারণে বহিঃবিভাগে কোনোভাবেই মনোযোগ দিয়ে রোগী দেখতে পারেন না চিকিৎসকেরা। ভর্তি থাকা রোগীদের দিনের বেলা তো বটেই রাতেও হর্নের শব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে যায়।

হাসপাতাল এলাকায় হর্ন বাজানোর ক্ষেত্রে আইনত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যানবাহন চালকেরা তা অবলীলায় অবহেলা করছেন। কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলারই তোয়াক্কা করছেন না তারা। অথচ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় হাসপাতালকে নীরব এলাকা হিসেবে বলা আছে। কিন্তু সেটা মানা হয় না। প্রায় উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে এ বিধি।

দোহাজারী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ আলোদ্বীপা মজুমদার বলেন, “তীব্র গতিতে যখন বাইরে হর্ন বাজে তখন মনোযোগ রাখা যায় না। জোর গলায় রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। এটি আমাদের প্রতিদিনের সমস্যা। রোগী দেখার মতো কোনও পরিস্থিতিই নাই এখানে। দোহাজারী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চারপাশের রাস্তা যদি হর্নমুক্ত রাখা যায় তাহলে পরিবেশ যেমন ভালো থাকবে তেমনি চিকিৎসক ও রোগীরাও স্বস্তিদায়ক পরিবেশে থাকবে।”

ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগী জানান, “দিনরাত ২৪ ঘণ্টা গাড়ির হর্নের শব্দে অসহ্য হয়ে যাচ্ছি। দিনের বেলায় বাসসহ অন্য গাড়ি আর রাতের বেলায় ট্রাকের হর্ন। এখানে রোগী সুস্থ হবে কী বরং সুস্থ মানুষই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার যোগাড়।” 

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকা হিসেবে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় অন্য প্রতিষ্ঠান এবং এর চারিদিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাকে বোঝানো হয়েছে ‘নীরব এলাকা’। চলাচলের সময় সেখানে যানবাহনে কোনও হর্ন বাজানো যাবে না। দোহাজারী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে গাড়ির হর্ন বাজানো প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে আরও দায়িত্বশীল ও কঠোর হতে হবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by