রাজশাহী

শাহজাদপুরে এখনও বাসভাসিদের ভাগ্যে জোটেনি ত্রাণসামগ্রী

  প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২০ , ৩:৩১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণ কমলেও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। কোন কোন স্থানের বাড়িঘওে নতুন করে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় তারা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রূপপুর নতুনপাড়ার চর ও নিচু এলাকার প্রায় ২ শতাধিক হতদরিদ্র তাঁত শ্রমিকের বাড়িঘর ও তাঁত কারখানা এখনও বন্যার পানিতে ডুবে আছে। ফলে এ সব বাড়িঘরের শ্রমজীবি মানুষের হাতে কোন কাজ না থাকায় তারা অতি কষ্টে আছে। প্রতিটি বন্যাদুর্গত পরিবারে চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। ক্ষুধার জ¦ালায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা তাদের শিশু সন্তান নিয়ে ঘরের মধ্যে মাচা করে অথবা চৌকি উঁচু করে বন্যার পানির মধ্যে বাস করায় শিশুরা পানিতে পড়ে যাওয়ার শংকায় রয়েছে।
এ ছাড়া চরের অনেক বাড়িঘরের মানুষ এখনও তাদের শিশু সন্তান নিয়ে ঘরের চালে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। এদের অনেকের ঘরেই খাবার নেই। অনেকের তাঁতঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় কাপড় বুনোন বন্ধ রয়েছে। ফলে তারা অর্থ কষ্টে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ সকল বানভাসি মানুষের অভিযোগ তাদেও উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা কার্যালয় থেকে কেউই খোঁজ খবর নেয়নি। এমন কি গত ১৬ দিন ধরে তারা বন্যার পানিতে ডুবে থাকলেও তাদেও ভাগ্যে জোটেনি কোন ত্রাণসামগ্রী। ফলে তারা চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বন্যা দুর্গতদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। অচিরেই তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
এ ছাড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নি¤œা লের বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পাট, তিল, কাউন ও সবজি ফসল। ফলে কৃষকেরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন্যার কারণে কাচা ঘাসের মাঠ ডুবে যাওয়ায় গোবাদি-পশু নিয়ে গো-খামার মালিকরা বিপাকে পড়েছে। এদিকে শাহজাদপুর উপজেলার বন্যাদুর্গত গালা, সোনাতনী, কৈজুরি, জালালপুর ও খুকনি ইউনিয়নের মানুষ ত্রাণের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে। নতুন কোন লোক দেখলে বা শ্যালো নৌকার শব্দ পেলেই ত্রাণের আশায় ঘর থেকে ছুটে আসে। তাদের ঘিরে ধরে ত্রাণের জন্য আকুতি জানায়। বন্যায় ডুবে যাওয়া মানুষ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার পিআইও আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলার বন্যাদুর্গত ৭৯০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০কেজি চাল, ২কেজি চিড়া, ১কেজি চিনি, ১কেজি ডাল, নুডুলস ৩ প্যাকেট ও ১ লিটার তেল।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by