শিক্ষা

শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ নানা অভিযোগে তালা ঝুলছে হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে

  প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২২ , ৭:৪৪:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. আরাফাত রহমান: জাককানইবি:

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) অগ্নিবীণা হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে হল প্রভোস্টের কক্ষে গত সোমবার (২১ মার্চ) তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৭ মার্চ) বেলা ৪টা পর্যন্ত সেই কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবসে এই হলে নানা আয়োজন ও কর্মসূচি থাকলেও নিজ অফিসে ঢুকতে পারেননি প্রভোস্ট । হল সুপারের অফিসে বসেই সকল আয়োজনে অংশ নেয় হল কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, শৃঙ্খলা কমিটিতে নেয়া চার শিক্ষার্থীর অগ্নিবীনা হলের আসন বাতিলের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ২০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির একটি সভায় শিক্ষার্থী ‘সাগর চন্দ্র দে’ -কে র‍্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এছাড়াও হলের চার আবাসিক শিক্ষার্থীর আসন বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিতে সভাপতি ছিলেন হল প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার যথার্থ প্রতিফলন না ঘটার অভিযোগ এনে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এছাড়াও দায়িত্বের প্রতি এই হল প্রশাসকের অনীহা নিয়ে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে হলটিতে অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

 

অগ্নিবীণা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজীম হাসান বলেন, প্রভোস্ট নিয়োগপত্রে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করার কথা উল্লেখ থাকলেও তিনি ময়ময়নসিংহ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন, যদিও গত কিছুদিন থেকে তিনি ক্যাম্পাসে থাকছেন। হলের ডাইনিংয়ে খাবারের নিম্নমান নিয়ে তার কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। হলে প্রায়ই পানি থাকে না, গ্যাসলাইনের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে, ওয়াশরুমের দূর্গন্ধে আশেপাশে যাওয়া দুষ্কর। এসব নিয়ে হল প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।

এ বিষয়ে অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি জানিয়ে আমার অফিসে তালা দিয়েছে। কিন্তু তাদের থেকে লিখিতভাবে কোনো দাবি আমি পাইনি। তবে আমি নিজে খোঁজ নিয়ে যা জানতে পেরেছি তা হলো, ১২ই মার্চ সাগরকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে ২০ মার্চ শৃঙ্খলা কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শৃঙ্খলা বোর্ড যেন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সে দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হল প্রশাসন এই প্রশ্নটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে করতে পারে না, শুধু জানাতে পারে। আমরা সেটি জানিয়েছি। কক্ষে তালা দেয়ার বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবগত করেছি। তারা প্রশাসনিকভাবে কতদূর এগিয়েছে তা জানি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর এ বিষয়ে উপাচার্য স্যার বলেছেন হলের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হল প্রশাসন দেখবে, প্রক্টরিয়াল বডির এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।’

Powered by