দেশজুড়ে

শীতে শিমের ফলনে তিন মাসে লাখ টাকা আয়

  প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:০৮:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

শীতে শিমের ফলনে তিন মাসে লাখ টাকা আয়

প্রান্তর জুড়ে হলুদ, বেগুনি ফুলে ভরে আছে চারপাশ,রাস্তার দুই পাশেই দেখা মিলবে কয়েক শত একর জমিতে হয়েছে শিমের চাষাবাদ।  থোকায় থোকায় ধরেছে শিম।বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত রবি মৌসুম,রবি মৌসুমে জেলা সদরের অনেক কৃষক শীতকালীন সবজি হিসেবে করেছেন শিমের চাষ।

জেলা সদরের রেইসা ইউনিয়নের বাসিন্দা নাইনুচিং মারমা একজন গৃহিণী।এ বছর নিজের বাড়ির আঙ্গিনা ও চাষাবাদের জমিতে করেছেন শিম চাষ।বানিজ্যিক ভাবে শিমের বাজার ভালো থাকলেও তিনি তার জমিতে উৎপাদিত শিম পাড়া প্রতিবেশীদের দিচ্ছেন বিনামূল্যে।তার দৃষ্টিতে যারা টাকা দিয়ে সবজি কিনে খেতে পারছেনা তাদেরকে দিতে পেরে তিনিও আনন্দিত।

সদর উপজেলার গোয়ালিয়াখোলা এলাকার চাষি প্রফুল্ল কুমার তঞ্চঙ্গ্যা নিজের ৪০ শতক জায়গায় করেছেন শীতকালীন সবজি শিমের চাষাবাদ,ভালো ফলনের আশায় পরিচর্যা করছেন শিম গাছের জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকেও পেয়েছেন সহযোগীতা,মৌসুমে শিমের চাষাবাদ করে এরি মধ্যে তিনি ৫০ হাজার টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেছেন অবশিষ্ট শিম বিক্রি করে আরো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাবেন বলে ধারনা করছেন।

আরেকজন তরুন চাষি মোঃ ইকন,গত করোনার সময়ে পড়ালেখা ছেড়েছেন,দারিদ্রতায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হলেও আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বেছে নিয়েছেন কৃষিকে।ইকন নিজের পৈত্রিক ১ একর জমিতে করেছেন শিম চাষ,করেছেন ১ লাখ টাকার শিম বিক্রি। এরই মধ্যে পাইকারি ৪০-৪৫ টাকায় জেলার বিভিন্ন বাজার হতে মহাজনরা এশে তার জমি হতেই শিম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জানালেন এক একর জমিতে শিম  চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ বিশ হাজার টাকা এবং বিক্রি হবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।তিন মাসে শিম চাষাবাদ ও বিক্রিতে তিনি লাখ টাকা উপার্জন করবেন যা দিয়ে চলবে তার পারিবারিক খরচ।

বান্দরবান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মোঃ হাসান আলী  জানালেন রবি মৌসুমে জেলার ৭ টি উপজেলায় মোট ৫১৩ হেক্টর জমিতে হয়েছে শিম চাষ। তিন মাসে বিঘা প্রতি একজন কৃষকের চাষাবাদে উৎপাদন  খরচ হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা যা ফলন উত্তোলনের পর ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে বিক্রি করেছেন এতে তিন মাসে একজন কৃষক বিঘা প্রতি ৭-৮০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। 

এছাড়াও তিনি জানান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর  উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে,বাজার দর ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখেও ফুটেছে স্বস্থির হাসি।

উল্লেখ্য পাইকারি দরে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দরে যা খুচরা বাজারে ৬৫-৭০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে,তাই শীতকালীন সবজি চাষ হিসেবে কৃষকের পতিত জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় শোভা কদর বেড়েছে শিম চাষের।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by