রাজশাহী

শেরপুরে বেহাল সড়কে ভোগান্তি

  প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২১ , ৬:০৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

এসআই বাবলু, শেরপুর (বগুড়া) :

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ, রাজবাড়ী, হাতিগারা, বাঘমারা, ঘোলাগাড়ী, খোট্টাপাড়া, কাদিমুকন্দ, পেংড়া পাড়া, বীরগ্রাম, মাথাইল চাপড়, ভাদাইশপাড়া, খাসপাড়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের ৯ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় অর্ধলাক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ও শাহবন্দেগী ইউনিয়ন দুটি সিমান্তবর্তী হওয়ায় রাস্তাটির সংস্কারের কোন কাজ হচ্ছে না। প্রতিনিয়তই এই রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনসহ হাজার হাজার গ্রামবাসী চলাচল করছে ভোগান্তি নিয়ে। জারজীর্ণ এ রাস্তা দিয়ে ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভটভটি, ট্রলিসহ নানা ধরনের ছোটোখাটো যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। মাটির রাস্তা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি প্রায় সম্পূর্ণ রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এ সময় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না অনেক সময় এ রাস্তায় যানবাহন উল্টে যায়। হাঁটা ছাড়া তাদের আর চলাচলের কোন উপায় থাকে না। কৃষিপণ্য বহনতো দূরের কথা অনেক সময় রাস্তা ছেড়ে জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয় গ্রামবাসীর।

এলাকাবাসী শ্রীকান্ত মাহাতো, রুস্তম আলী, ইমান হোসেন, ওসমান আলী, তছির উদ্দিন, ইয়াছিন আলীসহ আরো অনেকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প গ্রামাঞ্চলে পাকা রাস্তাকরণ হলেও এই রাস্তা আজও পাকা করা হয়নি। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় আজও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। বর্ষা মৌসুমে কৃষিপণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয় না যার ফলে পিছিয়ে পরছে এলাকার জীবন মান উন্নয়ন। কেউ অসুস্থ হলে বা গর্ভধারিনী মা’র প্রসবের ব্যাথা উঠলে যথাসময়ে ক্লিনিক বা হাসপালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ রাস্তা বেহাল অবস্থার জন্য গাড়ি চলাচল করতে পারে না।

এই এলাকায় রয়েছে বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানাইকান্দর উচ্চ বিদ্যালয় যেখানে ছাত্ররা সময়মত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না যদিও করোনার সময় স্কুল বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী গ্রামের খোদা বক্স, ইউনুছ আলী, আব্দুল কুদ্দুসসহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পুরোপুরি অসহায়, এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা শুরু হচ্ছে না। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কোনো গাড়ি চলা তো দূরে থাক হেঁটে যাওয়াই কঠিন হয়ে যায়। রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় সাংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মন্টু বলেন, রাস্তাটি ২টি ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী। তার পরও রাস্তাটির বেহাল অবস্থা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম জানান, আমাকে লিখিতভাবে এলাকাবাসি অবহিত করেছে উপজেলা পরিষদ থেকে যুতকুটু সম্ভব খুব দ্রুতই রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by