সিলেট

সিলেটে বোমাসদৃশ্য বস্তুটি ছিলো গ্রাইন্ডিং মেশিন: বিস্ফোরক নয়

  প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২০ , ৮:০১:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

সিলেট ব্যুরো : সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর মোটরসাইকেলে যে বস্তুটি পাওয়া গেছে, সেটি একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন, বোমা নয়। এটি কোন শক্তিশালী বিস্ফোরক দ্রব‌্য নয়। উদ্ধার অভিযান শেষে এমনটি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লে. কর্ণেল রাহাত। আতংক সৃষ্টি করতে এটি করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টায় তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর আগে বুধবার সন্ধ‌্যা ৭টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত, প্রায় ২১ ঘন্টা পর সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রীয়করণের স্পেশাল টিম উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সেখানে শক্তিশালি কোন বিস্ফোরক দ্রব‌্য পায়নি। অভিযান শেষে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লে. কর্ণেল রাহাত বলেন, গতকাল সন্ধ্যার সময় একজন পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে একটি অবজেক্ট, একটা সাসপেক্ট (সন্দেহজনক বস্তু) পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এই অবজেক্টটা ইন্সপেকশন ও পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেয়ে সিলেটে থাকা ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও বোমা ধ্বংসকরণ টিম নিয়ে আমরা এখানে আসি। তিনি বলেন, আমরা এখানে এসে আমাদের পদ্ধতি অবলম্বন করেছি, পরিদর্শন করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা একটা গ্রাইন্ডিং মেশিন। কিন্তু অধিকতর তদন্তের জন্য এবং এখানে যাতে অন্য ধরনের সন্দেহজনক বস্তু না থাকে, এটা নিশ্চিত করতে আমাদের নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করেছি এবং আরো নিশ্চিত হতে আমরা এটাকে খুলেছি। সার্জেন্ট চয়ন নাইডু বুধবার রাতে গণমাধ‌্যমকে জানিয়েছিলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি চৌহাট্টা মোড়ে মোটরসাইকেল রেখে চশমা কিনতে একটি দোকানে যান। দোকান থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলের কাছে আসেন। তাতে উঠতে গিয়ে দেখতে পান, পা রাখার স্থানে ড্রিল মেশিনের মতো একটি বস্তুু বেঁধে রাখা। সেটি বোমাসদৃশ্য হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তারা স্থানটি ঘিরে রাখে। চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলের চারপাশে সতর্ক অবস্থানে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা চৌহাট্টা মোড়ে রাখা মোটরসাইকেলটি ঘিরে রেখেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকার দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। আশপাশে পথচারী এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতও বন্ধ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় চৌহাট্টা এলাকায় উৎসুক মানুষ এবং পথচারীরা ভিড় জমাচ্ছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৯) একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা এলাকার পরিদর্শন করলেও বোমাটি উদ্ধার বা নিষ্ক্রিয় করতে অভিযান চালায়নি। পরে ঢাকায় পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষ দলকে খবর দেওয়া হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by