প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:২০:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
কামরুল ইসলাম দুলু. (সীতাকুণ্ড) চট্টগ্রাম:
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্র উপকূল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কয়েক একর ফসলী ভূমি ভরাট করেছে ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়াম লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। এতে উপকূলীয় বন ধ্বংসের পাশাপাশি সমুদ্র তীরে তৈরি হয়েছে গভীর বড় বড় গর্ত।
উপজেলার ৫নং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের পশ্চিমে সাগরে মাটি তোলার কাজটি প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি। সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাড়বকুণ্ড সমুদ্র উপকূলে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য সমুদ্র উপকূল থেকে বালু উত্তোলন চলছে। উপকূলীয় বনাঞ্চলও রেহাই পায়নি তাদের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে। এখানকার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে থাকা কেওড়া বন গেল বছরেই কেটে সাবাড় করেছে ক্যাপিটাল। স্কেভেটর দিয়ে সমুদ্র তীরবর্তী মাটি কেটে ফেলায় গভীর খাদ তৈরি হয়েছে।
এতে উপকূলীয় বন উজাড় হয়ে সমুদ্রের গভীরতা বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়-সাইক্লোনসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষার প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ বন ধ্বংস হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। দিনরাত ড্রেজার দিয়ে সমুদ্র থেকে বালু উত্তোলন করা হলেও এখনো কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অপরদিকে কৃষিজমিতে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় সীতাকুণ্ডে কমে গেছে কৃষিজমি। ক্যাপিটালের মতোই পরিবেশ বিধ্বংসী কাজে যোগ দিয়েছে পাশ্ববর্তী আরেক প্রতিষ্ঠান এনবি স্টিল লিমিটেড।
স্থানীয়রা জানান, ক্যাপিটাল এলপি গ্যাস ও এনবি স্টিল মিলে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে সাগর থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে কৃষি জমির বিনাশসহ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। এ বিষয়ে ক্যাপিটালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন, বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। শুধু সাগর থেকে এনে নিচু জমি ভরাট করা হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির জন্য আমরা যোগাযোগ করছি।
এদিকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে গত সপ্তাহে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপকূলীয় বনবিভাগ অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত দুটি পাইপ কেটে দেয়ার পাশাপাশি বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত দুই শ্রমিক গ্রেপ্তার করে। পরে ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়ামের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে পরিবেশ অধিদপ্তর।