প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২:৪৭:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
এবিপি আনন্দ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সুন্দরবনে বাঘের সঙ্গে মানুষের সংঘাত যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সে মধু সংগ্রহে জঙ্গলে যাওয়া হোক বা মিন ধরতে জঙ্গলসংলগ্ন নদীর পাড়ে যাওয়া হোক। বন দফতরের অনুমতি নিয়ে জঙ্গলে ঢুকেও অনেক সময় বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারাতে হয় সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারীদের ও মৎস্যজীবীদের। এরপরই সুন্দরবনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখতে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গলায় রেডিও কলার পরিয়ে ছাড়া হলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হরিখালি বিটের হরিণভাঙ্গা জঙ্গলে। বাঘ ছাড়ার সময় ড্রোনের মাধ্যমে কিছুক্ষণ নজর রাখা হয় বাঘটির ওপর।
বন দফতরের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার হরিখালির জঙ্গল থেকেই ধরা হয় বাঘটিকে। বাঘটির বয়স আনুমানিক ১২ বছর। পূর্ণবয়স্ক এই বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে দিনভর চলে রেডিও কলার পরানোর কাজ। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বাঘটিকে ফের ছেড়ে দেওয়া হয় জঙ্গলে।
বন দফতর জানায়, একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে রেডিও কলার পরানোর কাজ করেন বন দফতরের কর্মকর্তারা। রেডিও কলার থেকে পাওয়া সিগন্যালের মাধ্যমে ম্যাপিং করে বাঘটির গতিবিধি সম্পর্কে জানা যাবে। ফলে বাঘের আস্তানাগুলোকে নতুন করে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান তারা।
বন দফতর আরও জানিয়েছে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংগৃহীত সব তথ্য দেওয়া হবে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কাছে। চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের পক্ষ থেকে ভি কে যাদব বলেন, আমরা গবেষণা করে দেখব বাঘটি কখন কোথায় আছে।