স্ত্রীকে ‘হত্যার’ অভিযোগে স্বামী আটক

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় খাদিজা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘হত্যার’ অভিযোগে স্বামী আলম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত খাদিজা খাতুন (২৭) উপজেলার হারদি ইউনিয়নের কৃষি-ক্লাবপাড়ার ভিকু মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী আলম হোসেন (৩২) একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মোনাকষা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে খাদিজা-আলমের বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা দুজনেরই তৃতীয় বিয়ে। খাদিজা তার স্বামীর সঙ্গে পৌর এলাকার কলেজপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খাদিজাকে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখেন তার স্বামী। সারারাত মরদেহ পাহারা দিয়ে ভোরে প্রতিবেশীদের জানান, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তারপর তিনি নিজেই থানায় উপস্থিত হয়ে স্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’র ঘটনাটি পুলিশকে জানান। 

নিহতের ভাই আব্দুস সামাদ অভিযোগ করে বলেন, তার বোনকে এর আগেও আলম ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেন। এমন ঘটনার পরই গত দু’মাস কলেজপাড়ার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দুজনে বসবাস করতেন। এবার তার বোনকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। 

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ গনি মিয়া বলেন, ‘সকালে আলম নিজেই আমাদের জানান, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।’