বরিশাল

স্বরূপকাঠিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় মিমাংসার চেষ্টা, অবশেষে মামলা

  প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২০ , ৮:৩৭:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা রজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানায় ধর্ষিতার পিতা দ্বীন ইসলাম শেখ বাদী হয়ে ধর্ষক খায়রুল ও তার দুই সহযোগীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষিতার ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়েছে। বিবরণে জানাগেছে, উপজেলার সারেংকাঠি ইউনিয়নের উত্তর করফা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের নবম শ্রেনীর ওই মাদ্রাসা ছাত্রী লেখা-পড়ার পাশাপাশি প্রতিবেশি সাইদুলের বাসায় কাজ করত। সাইদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার খায়রুল তাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি সাইদুলের স্ত্রী নাসরিনকে ওই ছাত্রী জানালে তিনিও খাইরুলের পক্ষ নিয়ে তাকে বিভিন্ন প্রকারে প্রলোভন দেখাত। ঘটনার দিন নাসরিন তার স্বামি বাড়ী নেই বলে ওই ছাত্রীকে তার কাছে থাকার জন্য বলেন। ছাত্রীটি রাজি হয়ে ওই বাড়ী গেলে সেখানে খাইরুলকে দেখেতে পায়। খাইরুল একপর্যায়ে ছাত্রীটিকে বাগানে নিয়ে হাতপা বেধে জোর পুর্বকধর্ষণ করে। পরে সাইদুল এসে হাতপা খুলে দেয়। এসময় নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে এমন ক্ষতি কেন করলেন বলায় সে বলে তোকে খাইরুল বিয়ে করবে। কাজেই একথা কাউকে বলিস না। পরে নাসরিন ও তার স্বামী সাইদুলই সব কথা ফাঁস করে দেবার ভয় দেখিয়ে খায়রুলের কাছে টাকাও নেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মিমাংসার নামে দুই মাস সময় অতিবাহিত করেন। বার বার বৈঠক করে ২৭ জুন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মিমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ছাত্রীর পরিবার তাতে রাজি না হওয়ায় পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। মামলার বিষয়টি ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন একটি ধর্ষনের ঘটনা মিমাংসা করা বেআইনী। ভিকটিমকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by