শিক্ষা

‘স্বাস্থ্যবিধি’ মেনেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা, ধন্যবাদ জানাল অধিদপ্তর

  প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২১ , ৮:৫৬:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্ব সংক্রমণের মধ্যেই আজ শুক্রবার সারা দেশে এমবিবিএস ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল এ পরীক্ষা। আজ অনুষ্ঠিত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর বাইরে ধারণ করা ছবিতে দেখা যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্বের কোনো চিহ্ন ছিল না কেন্দ্রগুলোতে। দিনভর এসব ছবি নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে।

তবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরীক্ষার সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদও জানিয়েছে অধিদপ্তর।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হয়। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীসহ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষা সফলভাবে অনুষ্ঠানে যারা সহযোগিতা করেছেন (প্রশোসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ ছাড়া পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও ধন্যবাদ জানানো হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে পরীক্ষা হয়।  এ পরীক্ষায় ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েন ২৬ দশমিক ৮৬ জন পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষা উপলক্ষে শুক্রবার সকালে পরিবহন সংকট দেখা দিতে পারে বলে আগে থেকেই ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করায় পরিবহন সঙ্কট দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার মেডিকেল পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টার মধ্যে নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মহামারির মধ্যে এ পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়িও ছিল। পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কেন্দ্রে ঢোকার সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অথবা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হয়। একজন একজন করে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশে করানো হয়। প্রত্যেকের তাপমাত্রাও মাপা হয়। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের শুরুতে ও পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রগুলোর বাইরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচণ্ড ভিড়ে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by