বাংলাদেশ

১৬ জানুয়ারি সারাদেশে সমাবেশ-মিছিল করবে বিএনপি

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২৩ , ৩:৪৮:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

দলের ১০ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী সমাবেশ এবং মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বুধবার (১১ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনের সড়কে কোন অবস্থান কর্মসূচি শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী ১৬ই জানুয়ারি জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভা এবং কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের গণ অবস্থান মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আমরা আজ একটা যুগের সন্ধিক্ষণে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। যখন এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি তখন কেরানীগঞ্জে ৬শ কর্মী অবর্ণনীয় দুর্দশায় কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। তারা তাকিয়ে আছেন আপনাদের গণ আন্দোলনের দিকে। আপনারা তাদের মুক্ত করবেন।

তিনি বলেন, এই সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেউলিয়া দলে পরিণতি হয়েছে। তাইতো পুলিশ, আমলাদের ওপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে। তারা নির্যাতন নিপীড়ন ছাড়া কোনো ভাবেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পথ পাচ্ছে না। তাইতো এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের থেকে জনগণ মুক্তি চায়।

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, এই সরকারের লক্ষ্য একটাই অন্যায় ভাবে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা কি তা করতে দিতে পারিনা। তাই এই অন্যায়ের প্রতিবাদে সরকার হটানোর আন্দোলন শুরু হয়েছে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে। সুশীল সমাজ, বিশিষ্ট নাগরিকরাও এগিয়ে এসেছেন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ১০ দফা নিয়ে সবাই রাজপথে নেমে গেছে। তবে এজন্য আরো শক্তিশালী ভাবে জেগে উঠতে হবে। আসুন জেগে উঠি, জনগণের বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

গণঅবস্থান কর্মসূচির সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির যখনি কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেয়, সরকার ভীত হয়ে বলে আমরা সহিংসতা জড়ানোর জন্য কর্মসূচি দেই। কিন্তু নেতাকর্মীরা প্রতিবারই প্রমাণ করেছে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, আমরা ১০ দফা দিয়েছি, যে দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটিয়ে, সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করে রাষ্ট্রের মেরামতের কাজ শুরু করবো। যা এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমরা জানি সরকার ক্ষমতায় থাকলে এই ১০ দফা মানবে না। তাই আমরা সরকারের পতন ঘটানোর শপথ নিয়েছি পরিকল্পনা মাফিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে আন্দোলনের পথে এগিয়ে যেতে হবে। এ সময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যখন জেল তেকে বের হই তখন ৪৯১ জন নেতাকর্মী জেল খানায় বন্দি ছিলো। সবার মুক্তি দাবি করছি। একজন জপলারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ৭/৮ জন কেনো একটা রুমে রেখেছেন, তিনি উত্তর দিয়েছিলো জেল খানায় জায়গা নাই। এই যে সারাদেশকে একটি বড় জেলখানায় বন্দি করা হয়েছে। এখানে যারা বসে আছেন, তারাই একদিন আওয়ামী লীগের পতন ঘটাবেন। বিএনপির কোনো নেতাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা কাউকে ধাক্কা দিয়ে, টোকা দিয়ে নয় একটি ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চাই। ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ গণঅবস্থান কর্মসূচি চলে। আজকের গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by