দেশজুড়ে

৪২ বছর ধরে খতম তারাবি পড়ান ইসলামপুর কলেজের অধ্যক্ষ

  প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২৪ , ৫:৩০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

৪২ বছর ধরে খতম তারাবি পড়ান ইসলামপুর কলেজের অধ্যক্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ইসলামপুর আলহাজ কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কলেজ। এই কলেজের অধ্যক্ষ হাফেজ মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। কলেজের শিক্ষকতার পাশাপাশি গত ৪২ বছর ধরে খতমে তারাবি পড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। 

ইসলামপুর আলহাজ কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কলেজ ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা করা হয়। তার পাশেই প্রতিষ্ঠিত হয় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। আর এই নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদেই দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে পবিত্র রমজান মাস এলে কুরআনের পাখি হিসেবে ‘খতমে তারাবি’র নামাজ পড়িয়ে আসছেন কলেজের অধ্যক্ষ ৫৮ বছর বয়সি হাফেজ মো. শফিকুর রহমান। 

যিনি একাধারে এই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ এবং পবিত্র কুরআনের একজন সুদক্ষ হাফেজ। কলেজ মসজিদের আগেও বিভিন্ন মসজিদে রমজানে খতমে তারাবি পড়িয়েছেন তিনি।

হাফেজ মো. শফিকুর রহমানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর গ্রামে। বাবার নাম মৌলভী মো. আব্দুল জব্বার। বাবা-মায়ের ১০ সন্তানের মধ্যে অধ্যক্ষ হাফেজ মো. শফিকুর রহমান তাদের চতুর্থ সন্তান । ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। 

ছোটবেলায় তিনি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই মাত্র ১২ বছর বয়সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিখ্যাত মাদ্রাসা জামিয়া ইউনুছিয়া থেকে পবিত্র কুরআনের হাফেজ হন। তার উস্তাদ ছিলেন মরহুম হাফেজ আইয়ুব আলী। কুরআনের হাফেজ হওয়া পর জেনারেল লাইনের লেখাপড়াও তিনি চালিয়ে যান।  তিনি সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ এ অনার্স মাষ্টার্স সম্পূর্ণ করেন।

ঢাকায় শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাওয়া অবস্থায়ও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুই বছর এবং মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় মসজিদে ১৩ বছর খতমে তারাবির নামাজ পড়ানোর সুযোগ লাভ করেন।

পবিত্র রমজানে খতমে তারাবি পড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি আমার বাবা-মা ও উস্তাদের দোয়ার বরকতে এখনো তারাবি নামাজ পড়িয়ে যাচ্ছি। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আমি যেন পবিত্র কুরআনের আলোয় জীবনকে রাঙাতে পারি— সে জন্য সবার দোয়া চাই। 

তিনি আরও বলেন, আমি আমার এই ৫৮ বছর বয়সে আপনাদের দোয়ায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৪৩ বছর ধরে পবিত্র রমজানে খতমে তারাবির নামাজ পড়িয়ে যাচ্ছি। আমি যেন আমার জীবদ্দশায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কুরআনের একজন খাদেম হিসেবে তার  সঠিক খেদমত করে যেতে পারি সে জন্য সবার দোয়া চাই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by