রংপুর

রাজারহাটে ২৫ কিলোমিটার রাস্তায় দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২০ , ৪:০৭:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

আব্দুল হাকিম সবুজ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) :

রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। যানবাহন ও মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে রাস্তাগুলো। জানা গেছে, গত এক বছরের মধ্যে উপজেলার বিদ্যানন্দ, চাকিরপশার, ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা, উমর মজিদসহ ৭টি ইউনিয়নে এই ২৫কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। এ উদ্দেশ্যে শুরুতে রাস্তাগুলো খনন করে রাখা হলেও পরে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করা হয়।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে উপজেলা প্রশাসন কঠোরতা অবলম্বন করলে ঠিকাদাররা কম মুনাফার আশংকায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাগুলোতে কাদা ও পানি জমে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক রাস্তায় হাঁটু জল ও পানি জমে কচুরিপানা ও ঘাষ-লতাপাতা গজিয়ে কর্দমাক্ত হয়ে পরেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৈধ পন্থায় বালু প্রাপ্তি সহজলভ্যতার উদ্দেশ্যে উপজেলার জুয়কুমোর, বুড়িরহাটহাট, সরিষাবাড়ি, শিবেরদাহ, পাঠানহাট, চতুরা, কালিরহাট, সোমনারায়ন এবং ঠুটাপাইকর নামক পৃথক ৯টি স্থানে বালু মহাল স্থাপনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বালু মহাল স্থাপনের প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার চাকির পশার পাঠকপূর্ব গ্রামে দেখা যায়, উক্ত এলাকার মাইনর স্কুলের মোড় থেকে ফরকের হাটগামী রাস্তার দোকানের পাড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার খনন করে রাখা রাস্তায় শ্যাওলা, কচুরি পানা, লতাপাতা জন্মে রাস্তাটি চলাচলের অনুযোগী হয়ে রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এই রাস্তাটিতে বালু ফেলাকে কেন্দ্র উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কাজ আর হয়নি। এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে এ অবস্থা চলে আসায় আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেছি, কোন লাভ হয়নি।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চাষী আব্দুস ছালাম বলেন, রাস্তা পাকাকরণ কাজের দরপত্রে বালুর মূল্য ও কেরিং খরচ ধরা আছে। অথচ ঠিকাদাররা অল্প খরচে অবৈধ পন্থায় নিম্নমানের বালু ব্যবহারের সুযোগ না পেয়ে কাজ বন্ধ রাখায় উপজেলা জুড়ে চরম জনদুর্ভোগ চলছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আবু-তাহের মোহাম্মদ সফি জানান, শুধু বালুর সমস্যা নয়, বন্যা, করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজগুলো যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

Powered by