বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের কাজগুলো হচ্ছে তাদের দুর্নীতির উন্নয়ন। কারণ এই সরকারের সময় যেসব মেগা প্রজেক্ট করা হয়েছে, সেসব মেগা দুর্নীতির জন্য। সরকার পদ্মা সেতুকে সবচেয়ে বড় সফল প্রকল্প দাবি করলেও সেখানে হয়েছে মেগা দুর্নীতি। যে পদ্মা সেতুর কাজ ১০ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ নিয়ে শুরু হয়েছিল, এখন সেই প্রকল্প ৪০ হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। ঠিক এভাবে প্রতিটি প্রজেক্টে ৪/৫ গুণ করে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। সেই ভাবেই তাদের সঙ্গে মেলামেশা করে। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সাম্প্রায়িক ঘটনাগুলো নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বেশিরভাগ সংঘাতের পেছনে আওয়ামী লীগের লোকজনের হাত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেশের সম্পদ লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগে মিডিয়াসহ আন্তজার্তিক পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হয়। তারই ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও বেআইনিভাবে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হয়। এখন তার বিরুদ্ধে ওই সব মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। অথচ একটি মামলার বিচারে তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ এনেছিল তার কোনোটাই প্রমাণ করতে পারেনি। এমনকি পৃথিবীর কোথাও কোনো দেশে তার ব্যাংক হিসাব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে দুর্নীতির কোনো চিহ্ন তারা খুঁজে পায়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আসার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করা হয়েছে। যেদিন তারেক রহমান এই দেশে আসবেন, সেদিন ঢাকার মাটিতে গণমানুষের ঢল নামবে। এতো মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা কারও পক্ষে সম্ভব হবে না।
এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।