প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২০ , ১১:০৫:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ অনলাইন:
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, দেশে গড়ে প্রতিদিন তিনজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ১৮ বছর আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হলেও অপরাধ তো কমেইনি সাম্প্রতিক সময়ে এ হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। সাজা বাড়ানোর জনদাবির প্রেক্ষিতে গত ১২ অক্টোবর আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ধর্ষণ, ভুক্তভোগীকে হত্যা ও নির্যাতনের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে সরকার ।
আইনটি বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ আইন ধর্ষক ও ধর্ষকমনাদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমি নিশ্চিত যে ধর্ষকরা এবং দুষ্কৃতকারীরা ভয় পাবেন। এতে সমাজে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে।
অন্যদিকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, অভিযুক্ত ও ভিকটিম উভয়ের ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়ায় একদিকে যেমন হয়রানিমূলক মামলার হার কমবে অন্যদিকে দ্রুত সনাক্ত করা যাবে অপরাধীদের।
নারী সুরক্ষায় নতুন এ আইনকে মাইলফলক বলছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
তিনি বলেন, খুনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনা অনেক ভয়াবহ, নিষ্ঠুর। তবে, আইনের বাস্তাবায়নটা না হলে এ ধরনের ঘটনা বাড়বে। কমবে না।
সংশোধিত আইনে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝেও।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আইনে সাজা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধর্ষণকারীরা ভয় পাবেন। এবং আইন বাস্তবায়ন হলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।
তাদের আশাবাদ এবার ধর্ষণমুক্ত হবে প্রিয় মাতৃভূমি।