প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২০ , ৫:২২:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুর প্রতিনিধি : করোনার এই সময়ে শ্রমিক ও অর্থ সংকটে ভোগা কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে গোলায় তুলে দিলো শেরপুর জেলা পুলিশ।সদর উপজেলা বাজিতখিলার বালিয়া গ্রামের কৃষক ছামেদুল হকের ৪০ শতক জমির ধান কাটা হয়। বিকেলে নকলার উরফা ইউনিয়নের বারমাইসা গ্রামের কৃষক আবু রায়হানের ৬৫ শতক জমির পাকা ধান কাটা হয়।
জেলা পুলিশের মহতি এ কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এসেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলা স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম। এ ধানকাটা উৎসবের সূচনা করেন পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক সহ অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা ধান কেটে দেওয়ায় খুশি কৃষক ছামেদুল হক। তিনি বলেন, বোরো ধান আবাদে জমানো সব টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। হাতে তেমন টাকা ছিল না। তাঁর উপর শ্রমিকের অভাব। এর ফলে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছিলনা। এমন সময় পুলিশসহ অন্য ছাত্র ভাইয়েরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই দান কাটার ফলে তার অন্তত: ১২ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রজেউল করিম রেজা বলেন, দেশের এই দুর্যোগকালীন সময়ে ছাত্রলীগ অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা শেরপুর জেলা ছাত্রলীগ শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত স্বে”ছাসেবক বাহিনী গঠন করে পুলিশের সাথে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছি। কৃষকের ধান কাটতে পেরে আমরাও খুশী।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সারা দেশ এখন স্থ’বির। এই পরিস্থি’তিতে শেরপুর জেলায় বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্ত‘ লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে অনেক কৃষকই ধান কাটতে পারছেন না। তাই জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় স্বেছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা স্বে”ছাশ্রমের ভিত্তিতে কৃষকের বোরো ধান কেটে দিচ্ছেন। যখনই যে কৃষক ধান কাটা সমস্যায় পড়বেন, তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশকে জানালে তাঁর ধান কেটে দেওয়া হবে।