প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২০ , ৬:৩৭:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
শাহ মো. সারওয়ার জাহান, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ সদরে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাধীন চৌদ্দশত ইউনিয়নের চুপিনগর গুচ্ছগ্রামে সরকার সম্প্রতি একটি আশ্রায়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে প্রায় ২০টি পরিবার জীবন যাপন করে। ৪০ বর্গফুটের একটি গৃহে কোন রকমে জীবনযাপন করলেও নিরাপদ পানির সংকট ছিল তীব্র। আশ্রায়ন প্রকল্পের নিকটবর্তী একটি খালই ছিল গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র পানির উৎস। ঘর গৃহস্থালির সকল কাজে নিত্য ব্যবহার্য্যে এ পানি ব্যবহার করত। এর তীরেই ছিল ৮/১০টি খোলা পায়খানা। পানি ব্যবহারে রোগাক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্যতায় ভুগতো এর বাসিন্দারা। কথা হয় আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আঃ মান্নানের স্ত্রী শামীমা (৪০) এর সঙ্গে। চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক খোকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করার জন্য এক বছর আগে অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি ৬ নং হ্যান্ড পাম্প স্থাপন করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। ৮০০ ফুট গভীর থেকে আর্সেনিক মুক্ত পানির টিউটওয়েলটি সার্বক্ষণিক রক্ষণাবেক্ষণ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োজিত মেকানিক সুবজ আফ্রাদ। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরা খাতুন এ প্রতিনিধিকে জানান গুচ্ছ গ্রাম আশ্রায়ন প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের বিশেষ একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুরক্ষামূলক কর্মসূচী। এখানে বসবাসরত পরিবারের মধ্যে একজন তত্ত¡াবধানকারী নির্বাচিত করে ৭ হাজার টাকা ভতর্‚কী (স্থাপন খরচ) সরকারী কোষাগারে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা সাপেক্ষে হ্যান্ড টিউবওয়েলটি স্থাপন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় প্রাপ্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য ২টি করে সাবান প্রদান করা হয়েছে যেন তারা ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়। চৌদ্দশত ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক যুবলীগ কর্মী ও বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী তথ্য প্রযুক্তি ফোরাম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ ছাইফুল ইসলাম ভ‚ঞা (জাফরুল) এ প্রতিনিধির সঙ্গে আশ্রায়ন প্রকল্প ও গুচ্ছ গ্রামে সাক্ষাৎ হলে তিনি এ স্থানের বাসিন্দাদের পানীয় জলের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপনের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বাস্তব অবস্থাটি সংবাদপত্রে প্রকাশের অনুরোধ জানান। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে কোন পরিকল্পনা আছে কি না প্রশ্নের উত্তরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি মনিটরিং করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মসূচীর আলোকে জেলা প্রশাসনের। স্থানীয় চাহিদার আলোকে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা পেলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে বদ্ধ পরিকর। টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হিসেবে আমি জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটি সভায় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য উপস্থাপন করবো।