আন্তর্জাতিক

অবশেষে প্যানডেমিক প্যাকেজে ট্রাম্পের সই

  প্রতিনিধি ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ৩:৩৫:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

প্রবল চাপের মুখে প্যানডেমিক রিলিফ বিলে সই করতে বাধ্য হলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ওই বিলটিকে ‘জঘন্য’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। ট্রাম্প সই করার কংগ্রেসে বিপুল ভোট পাওয়া বিলটি আইনে পরিণত হলো। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের চাপের মুখে বিলটিতে সই করতে বাধ্য হয়েছেন ট্রাম্প।

দুই দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণার বিল কিছু দিন আগেই পাশ হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসে। নির্বাচনের আগে থেকেই ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের দাবি করছিল। কারণ এই প্যাকেজে সব শ্রেণির আমেরিকান উপকৃত হবেন। দেশটির স্বাস্থ্য, ব্যবসায় বিপুল পরিমাণে প্রণোদনা দেওয়া হবে। অর্থনীতি যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্যই এই আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা। একই সঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিন সকলের কাছে পোঁছে দেওয়ার জন্যও একটি বাজেট ধরা হয়েছে বিলে।

যদিও প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করছিলেন ট্রাম্প। তিনি বিলটিকে জঘন্য বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। যদিও নিজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি। বলেননি, কেন বিলটি তাঁর খারাপ মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাটদের কংগ্রেসে পাশ হওয়া বিল এমনিই তিনি সই করতে রাজি হচ্ছিলেন না। কারণ গত কয়েকদিনে একাধিক বিলে ভেটো দিয়েছেন ট্রাম্প। আর্থিক প্যাকেজের বিলটিতে ভেটো না দিলেও আপত্তি জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু বিলটিকে সমর্থন করেছিলেন রিপাবলিকানদের একটি বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাঁদের চাপেই শেষ পর্যন্ত বিলটিতে সই করেন ট্রাম্প। সই করার আগে একটি টুইটও করেন তিনি।

ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য চেয়েছিলেন প্রত্যেক মার্কিনির অ্যাকাউন্টে দুই হাজার ডলার করে দিতে। কিন্তু বিলে ৬০০ ডলার করে দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, দুই হাজার ডলার করে দেওয়া গেলে অর্থনীতির ভালো হতো। অর্থনীতি আবার সচল হতে শুরু করতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে দুই হাজার ডলার দেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদদের অন্য অংশ। মূলত সেই কারণেই অত্র টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়নি বিলে। সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি

আরও খবর

Sponsered content

Powered by