দেশজুড়ে

আগৈলঝাড়ার শিশু নুসরাতের মৃত্যু, পিতা ও সৎমা বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা, তাহলে সম্পত্তিই নুসরাতের কাল!

  প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৫:১৬:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি:

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী নুসরাত জাহান নোহার মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে গত সোমবার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আমলী আদালতে নুসরাতের পিতা মো.সুমন মিয়া সৎমা ঝুমর বেগম ও ফুফু সহ ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আমলী আদালতের পেশকার মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, সোমবার আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের তানিয়া আক্তার (৩০) বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (৩৫) ও তার ৪র্থ স্ত্রী ঝুমুর বেগম (২৬) সহ ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী মৃত ছাত্রীর মা তানিয়া আক্তার অভিযোগ এজাহারে বলেন, অমার সাবেক শ্বশুর ও নুসরাত জাহান নোহার দাদা আব্দুর রহিম তার সকল সম্পত্তি তার নাতনী নুসরাত জাহানের নামে লিখে দিবে। এই কথা শুনে সম্পত্তি হারানোর ভয়ে আমার মেয়ে নুসরাতকে তার সৎমা ঝুমুর বেগম ও নুসরাতের পিতা সুমন মিয়া পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নিজেরাই লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারনা চালায়।

আদালতে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুমন মিয়া তানিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই। তিনি নুসরাত জাহান নোহার হত্যার জন্য শিক্ষক সফিকুল পাইককে দায়ী করেন। তাকে (শিক্ষক সফিকুল পাইক) আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় ৯ সেপ্টম্বর একটি মামলা করেছি। আসামী প্রভাবশালী হওয়াতে তার লোকজন ও স্বজনরা আমার কাছে মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ষরযন্ত্র করছে একটি মহল। নুসরাতের সৎমা ঝুমুর বলেন, নুসরাত আমাদের অজান্তে গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নুসরাত একটা ভালো মেয়ে ছিলো। নুসরাতের দাদা আব্দুল রহিম মিয়া বলেন, নুসরাতের নামে আমার সম্পত্তি লিখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। রোববার সকালে ওই বাড়ি (নুসরাতের নানি বাড়ি) গিয়ে একথা বলে ছিলাম। নুসরাতের মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহসব দেখেন, তিনি বিচার করবেন। উল্লেখ্য, নুসরাত জাহানের বাবা মো. সুমন মিয়া মামলায় উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে নুসরাত জাহান নোহা (১০) দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীতে পড়াশোনা করে। করোনার মধ্যে স্কুল খুলে এবং সাময়িক পরীক্ষা নেন কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় আমার মেয়ে ফেল করায় গত ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার পাঠকক্ষে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম মেয়েকে গালিগালাজ করে এবং বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। স্কুল ছুটির পরে মেয়ে বাড়িতে এসে অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by