আনোয়ারায় একদিনে ১৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের তিন ল্যাবে ৫৯৬ নমুনা পরীক্ষায় ১৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭২ জন ও উপজেলা এলাকায় ৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। তারমধ্যে আনোয়ারা উপজেলা ১৫ জন করোনা ভাইরাস ( কোভিড-১৯ ) পজিটিভ এসেছে। শুক্রবার (০৫ জুন) আনোয়ারায় একদিনে ডাক্তার,পুলিশ ও ব্যাংকারসহ সর্বোচ্চ ১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এদের মধ্যে রয়েছে বারাখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামের ইমরান হোসেন (২৬) , উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা চম্পা (২৮), বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল গ্রামের আব্দুল গণি (৬৩), বারাখাইন ইউনিয়নের পূর্ব বারাখাইন গ্রামের শরীফ (৬৪), বৈরাগ ইউনিয়নের আমানুল্লাহ পাড়ার কায়সার (২৯), সোনালী ব্যাংক বটতলী শাখার কর্মকর্তা মাসুদ বিন জাফর (৩৭), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের চিকিৎসক ডাঃ আবু তাহের রহিম,এবং ডাঃ আফসানা তিতি, তৈলারদ্বীপ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক হাশেম উদ্দিন, চকবাজার গোয়ান্দা শাখার (এস আই) হাইলধর গ্রামের আহলাদ ইবনে জামিল, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিপু চন্দ্র দাশ, বারাখাইন ইউনিয়নের পূর্ব বারাখাইনের মিফতাহুল জান্নাত, উত্তর বন্দরের নাজিম উদ্দীন পারভেজ, তামান্না আক্তার এবং জিহান তাসনিম।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুউদ্দীন জানায় , গতকাল চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন থেকে পাঠানো রির্পোটের আনোয়ারা উপজেলা ১৫ জনের করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের হোম কোয়ারান্টাইন রাখা হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৩৮ জন, হোম কোয়ারান্টাইন আছে ৩৩ জন, সুস্থ হয়েছে ৫ জন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, আনোয়ারায় একদিনে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে চকবাজার গোয়ান্দা শাখার একজন (এস আই) সদস্যসহ ৭জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছে। বাকীরা উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের এলাকা লকডাউন করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ জন।