ঢাকা

আশুলিয়ায় যত্রতত্র গতিরোধক; ভোগান্তি

  প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:৩৪:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়ায় যত্রতত্র গতিরোধক; ভোগান্তি

আশুলিয়ার জিরানী-আমতলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা  না করেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র ব্যক্তিগতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে গতিরোধক। এতে একদিকে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অন্যদিকে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত লাখো মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।  

বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে সরেজমিন আশুলিয়ার আমতলা সড়কে ঘুরে দেখা যায়, জিরানী বাজার থেকে কলেজপাড় কলাবাগান স্ট্যান্ড পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার দূরত্বে বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ১১টি গতিরোধক দিয়েছে। এই গতিরোধকগুলো শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নানের বাড়ির সামনে একটি, এর ৫০ গজ পর আরেকটি, চিড়িংগা পুকুরপাড়ে দুটি, টেংগুরিতে দুটি, স্প্রিং ট্রেড লিমিটেড কারখানার সামনে দুটি, ইকরা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের সামনে দুটি, আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি এবং কলাবাগানে একটি গতিরোধক রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, যত্রতত্র গতিরোধক স্থাপন করায় উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশী হচ্ছে। এর আগে-পরে নেই কোন সতর্কীকরণ চিহ্ন বা জেব্রা ক্রসিং। গতিরোধকগুলো এতো উঁচু করা হয়েছে যার কারণে গাড়ি চালানোর সময় ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এনিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিত গতিরোধক নির্মাণের ফলে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চালকরা প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। আর পরিকল্পনা ছাড়া স্থাপন করা উঁচু উঁচু এসব গতিরোধকই পথচারীর জন্য যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা আরো জানান, সড়কের পাশে পাঁচ-সাতটি দোকান থাকলেই তার দুই পাশে দেয়া হয়েছে গতিরোধক। পোশাক কারখানা, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনার সামনে ইচ্ছামতো দেয়া হয়েছে গতিরোধক। এতে রং না থাকায় রাতে বোঝার কোন উপায় থাকে না। তাই ঘটে দূর্ঘটনা। টেংগুরি এলাকার স্প্রিং ট্রেড লিঃ নামের একটি কারখানার মূল ফঁটকের সামনে ইচ্ছামত দেয়া হয়েছে গতিরোধক। কলাবাগান এলাকায় নিউ পপুলার হাসপাতালের সামনে এর মালিক ইচ্ছামত নির্মাণ করেছে গতিরোধক। ইকরা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামাফিকভাবেই নির্মাণ করেছেন দুটি গতিরোধক। যেখানে কোন নিয়ম মানা হয়নি বলেও জানান তারা। এছাড়াও টেংগুরি, চিড়িংগা পুকুরপাড়, মেম্বারের বাড়ির সামনে, কলেজপাড় সহ বিভিন্ন স্থানে মোট ১১ টি গতিরোধক দেয়া হয়েছে। যার কোনটিরই কোন অনুমোদন নেই।

এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানায়, উঁচু করে বিট দেয়ার কারণে অনেক সময় গাড়ি তোলা যায় না। আর বিটের কাছে আসলেই গাড়ি শ্লো করতে হয়। যখন বিট থেকে গাড়ি নামে তখন যাত্রীরা কোমরে ব্যথা পায়। গাড়ির ক্ষতি হয়। এসব বিট দূর্ঘটনারোধ করার জন্য দিলেও ঘটছে দূর্ঘটনা। গতিরোধকগুলো যত দ্রুত সম্ভব অপসারণের দাবী জানান তারা।

এব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, এ সড়কের মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তায় এতগুলো গতিরোধক অন্য কোথাও আছে কিনা জানা নেই। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মানুষজন অতিষ্ঠ  হয়ে গেছে। অপ্রয়োজনীয় এসব গতিরোধক অপসারণের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য জানান, সড়কে অপ্রয়োজনীয় গতিরোধকের কোন অনুমোদন আমরা দেই না। এগুলো সড়কে কাজ করে চলে আসার পরেই স্থানীয়রা করে থাকে। এগুলো অপসারণে স্থানীয় চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিতে পারেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by